সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের শতাধিক কর্মী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় একই ক্যাম্পাসে অবস্থিত রাবেয়া খাতুন নার্সিং কলেজ ও হোস্টেলে হামলা এবং বিভিন্ন কক্ষের কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ছাত্রলীগের এক কর্মীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও তাঁকে লাঞ্ছিত করার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, দুপুরে ছাত্রলীগকর্মী সাফায়েত তাঁর এক অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালে যান। এ সময় তিনি রোগীর সঙ্গে জরুরি বিভাগে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাঁকে বাধা দেন সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা।
এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা একত্রিত হয়ে সাফায়েতকে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনার পর নগরীর কালীবাড়ি এলাকার শাহেদ আহমদ ও তোফায়েল আহমদের নেতৃত্বে শতাধিক যুবলীগ ও ছাত্রলীগকর্মী গিয়ে হাসপাতালে হামলা চালায়।
এ সময় এক দর্শনার্থীসহ পাঁচ নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কয়েকটি রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
একপর্যায়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানা জোনের উপকমিশনার (এসি) কামরুল হাসান যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামের অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়।
জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, যারা হামলা করেছে তারা নিজেদের ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মী বলে দাবি করেছে। এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এলাকার মুরুব্বিদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল বাসিত রুম্মান এনটিভি অনলাইনকে জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। এখন তিনি সাংগঠনিক কাজে ঢাকায় আছেন। এ ঘটনার তদন্ত করে কেউ দায়ী হলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।