ইনুকে গ্রামছাড়া ও অবাঞ্ছিত করার হুমকি দিয়েছেন কুষ্টিয়া আ'লীগ ||

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে ‘গ্রামছাড়া’ করার হুমকি দিয়েছেন তাঁর সংসদীয় এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। ইনুকে ‘অবাঞ্ছিত’ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক প্রতিবাদ সভায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।

এরই প্রতিবাদে ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগ এই প্রতিবাদ সভা করে। বিকেল চারটায় সভা শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। মঞ্চের ব্যানারে লেখা ছিল ‘জাসদের সন্ত্রাসী কর্তৃক যুবলীগ অফিস, বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর এর প্রতিবাদে ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ।’ সমাবেশে দুই উপজেলার পাঁচ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মোকারিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ তাঁর বক্তব্যে বলেন ‘রাজাকার পরিবারের সন্তান ইনুকে এলাকাছাড়া করা হবে।’ এই ইউনিয়নেই ইনুর গ্রামের বাড়ি।

ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক শরিফুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে ইনুকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’

মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে সড়ক অবরোধ করা হবে।’

সভায় একজন বক্তা ইনুকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এমপি-মন্ত্রী হয়ে আপনার দলের সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের মারবেন, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করবেন, অফিস ভাঙচুর করবেন, এটা আর আমরা মেনে নেব না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আক্রমণকারী ওই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনসহ লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।’

ভেড়ামার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান মিঠুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হালিম, কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন ও পৌর মেয়র শামিমুল ইসলামসহ স্থানীয় বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী ও যুবলীগের শীর্ষ নেতারা।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে জাসদের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগে জাসদের ২৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। অভিযোগ উঠেছে কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাঙা হয়।

www.facebook.com/voiceofsenbag

Post a Comment

Previous Post Next Post