মৌলভীবাজার প্রতিনিধি,
অসামাজিক অপকর্ম পরিচালনা করাকালে সঙ্গীয় তিন পতিতা ও মাদকদ্রব্যসহ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানা পুলিশের হাতে আটক হয়ে অবশেষে জেল হাজতে ঠাই হয়েছে জুড়ীর বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ও ৩নং পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের প্রভাবশালী সদস্য আনফর আলী ওরফে আনফর মেম্বারের।
কুলাউড়া থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুলাউড়া থানার এস.আই. নূর হোসেনের নেতৃত্বে ২১ জুলাই মঙ্গলবার ভোরে পৌর শহরের আহমদাবাদ (নতুন পাড়া) মৌলভী আব্দুস সহিদের বাসার ভাড়াটিয়া বাসা ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা সহ অসামাজিক অপকর্ম করার অপরাধে জুড়ী উপজেলা আওয়ামিলীগ নেতা ও ৪নং ওয়ার্ড ইউ.পি সদস্য আনফর আলী (৫০) কে মাদক দ্রব্য ও সঙ্গীয় তিন পতিতা একই উপজেলার সম্পর্কে খালা-ভাগ্নি ফুলতলা ইউ.পির মৃত রশিদ আলীর মেয়ে রিপা বেগম (২৪), দক্ষিন বটুলী ফুলতলা সড়কের জুনাব আলীর মেয়ে রুসনা বেগম (১৫) ও হালিমা আক্তার (১৭) কে পুলিশ আটক করে। পরবর্তীতে পুলিশ বাদি হয়ে আনফর মেম্বারকে প্রধান আসামী উল্লেখ করে মামলা নং-৭৪/১৫ দায়ের করেন।
এদিকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, ২০০৭ সালে জুড়ী গৌরাঙ্গ বিলের জলমহাল ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে তার নির্বাচনী প্রতিদ্ধন্ধি সামসু মিয়া মেম্বারকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় ছয় বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আনফর আলী মেম্বার। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জুড়ীর অনেকে জানান, আনফর মেম্বার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ছিল। বর্তমানে জুড়ী গৌরাঙ্গ বিলের জল মহাল, ধামাই ও শীলঘাট চা বাগানের গাছ লোপাট এবং এলাকায় জুয়া খেলার ব্যবসা পরিচালনা সহ বহু সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে আনফর মেম্বারের বিরুদ্ধে।
কিন্তু স্থানীয় সাংসদ ও হুইপ জুড়ী সফরে আসলে হুইপের সার্বক্ষনিক সঙ্গী হিসেবে আনফর মেম্বারকে দেখা যাওয়ায় এবং উপজেলা আওয়ামিলীগের কর্মসূচীতে আনফরের সক্রিয় অবস্থান থাকায় স্থানীয় প্রশাসন তার প্রতি নমনীয় তাইতো প্রতিতা ও মাদকগ সহ আটক হলেও মাদকদ্রব্য এজহারে উল্লেখ হয়নি।
অপরদিকে আনফরের জ্ঞাতি ভাই ও সহযোগীগণ জুড়ী উপজেলায় দিবারাত্রী প্রচার করে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও সুশীল ব্যাক্তিগণকে বিভ্রান্ত করছে, আনফরের পতিতা ও মাদকসহ আটক এবং জেল হাজতে প্রেরণ সংবাদ ভূয়া ও বানোয়াট। তাদের জোর দাবী আনফর জুড়ী শহরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মতিয়ার রহমান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পৌর শহরে নতুন পাড়া এলাকায় আব্দুস সহিদের বাসার নীচতলা ভাড়া নিয়ে রিপা বেগমসহ অন্যরা দীর্ঘদিন যাবত অসামাজিক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে এক ইউ.পি সদস্যসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2015/07/25/293782#.VbTNtyJXeSx
