শুনো মুসলমানেরা ১৯৭১ সনের কোন কাঁদা সাঈদীর গায়ে লাগে নাই ||

আমাকে বলছে রাজাকার !
শুনে রাখো চট্রগ্রামের লক্ষ লক্ষ জনতা ।
পার্লামেন্টে আমাকে যখন এই কথা বলা হয়েছিল, প্রধান মন্ত্রী সহ অন্তত ৩ শতাদিক পার্লামেন্টের সম্মানিত সদস্যরা সে দিন বসা ।

১৯৯৭ সনের বাজেট বক্তৃতা যখন আমি করতেছিলাম ডঃ কুদরতে খুদার প্রনিত শিক্ষা ব্যবস্তার যখন সমালোচনা করছিলাম, তখন ট্রেজারী ব্রেঞ্চ থেকে আমাকে বলা হয়েছিল রাজাকার ! আমি আমার সমস্ত শক্তি একত্রিত করে বলেছিলাম- "শুধু হিন্দুস্তানের রাজাকারেরাই" আমাকে রাজাকার বলতে পারে ।

আমি বলেছিলাম ১৯৭৩ সন পর্যন্ত আমি কোন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং কর্মী ছিলাম না । আমি রাজাকার নই । আমাকে রাজাকার বলে যদি তা কেউ প্রমাণ করতে না পারে ১০ কোটি টাকার মানহানী মামলা দায়ের করবো । আমার এই বক্তব্য সারা দুনিয়া শুনেছে । সে দিন ৩ শতাদিক পার্লামেন্টের কেউ আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেন নাই । এর পরে ১৯৯৭ সনের ৭- ই অক্টোবর দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকা যখন লিখল সেই পত্রিকায় "সাঈদীর ওপেন চ্যালেঞ্জ" অষ্ঠম পাতা ১৯৯৭ সনের ৭- ই অক্টোবর। সেখানে আমি বলেছি- বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক, গোয়েন্দা বিভাগ, বাংলাদেশের সকল বুদ্ধিজীবীকে আমি আমার পিরোজপুরে আমন্ত্রণ করছি । আমার উপস্থিতিতে যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমার কোন ভূমিকা ছিল তাহলে স্বজ্ঞানে-স্বেচ্ছায় জাতীয় সংসদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করব । অনেক বছর পার হয়েগেছে আজ পর্যন্ত কেউ এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করে নাই । সুতরাং আমাকে যারা রাজাকার বলবে- তারা পিতৃ পরিচয়হীন অবৈধ সন্তান"।

শুনো মুসলমানেরা ১৯৭১ সনের কোন কাঁদা সাঈদীর গায়ে লাগে নাই।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/১৩ জুন ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post