ছাত্রলীগ ও ধর্ষণ :-
কিছু কথা ছাত্রলীগকে নিয়ে। শুধু কথা নয়। কিছু সত্যিকারের বাস্তব ঘটনা। আসলে ঘটনা নয়, কিছু নারীর আর্তচিৎকার যা তুলে ধরেছি, তাবে সব নয়। সব তুলে ধরতে গেলে ত রাত পার হয়ে যাবে। আপনারাও ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে পড়বেন পড়তে পড়তে। আসুন, চিনে নেই কিছু নরপশু, নারী নির্যাতনকারীকে....
১/ মা-মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
-----------------------------------------
পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সেহাঙ্গল গ্রাম। ২০১২ এর ১৭ ই ফেব্রুয়ারী সেই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ আহবায়ক সহ ৯জন গ্যাং রেপ করে হত্যা করে শিউলি আক্তার এবং তার মেয়ে সুর্বনা আক্তার।
২/ গৌরীপুরে ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণ করেছে শিশুকে, রানীনগরে স্কুলছাত্রীর পর্নো ছবি : খুলনায় কিশোরী ও পীরগঞ্জে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি
-----------------------------------------
২০১২ এর ২২শে মে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের রামকৃষর্ন পুর গ্রামের ৬ বছরের এক শিশুকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নাতা আশরাফুল ইসলাম ধর্ষন করে।
৩/ নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণচেষ্টা: ছাত্রলীগের সেই দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
-----------------------------------------
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে নাচে অংশগ্রহনের উদ্দেশ্যে খুলনার একজন নৃত্যশিল্পী স্বামী সহ আসেন। অনুষ্ঠানের শেষে গভীর রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ জুয়েল হাসান এবং সাধারন সম্পাদক নাজমুল হুদা পলাশ ধর্ষন করতে চেষ্টা করে। ঘটনাটি ঘটে ৪ ই জানুয়ারী ২০১৩ তে।
৪/ গৌরীপুরে ছাত্রলীগ নেতার কাণ্ড : ছেলেমেয়ের সামনে বাবাকে পিটিয়ে আহত : মায়ের শ্লীলতাহানি
-----------------------------------------
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে তাতকুড়া সাহারা স্পিনিং মিলে আধিপত্য বিস্তার ও আর্থিক সুবিধার নামে মিল ইনচার্জ জাবেদ মিয়াকে ছাত্রলীগ নেতা হারুন অর রশিদ ওরফে পবিত্র, মারধর করে স্ত্রী কন্যার সামনেই। স্ত্রী বিউটি বেগম স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তার স্লীলতাহানী করা হয়। আর তা করা হয় তার ৭ম শ্রেনীতা মেধাবী কন্যার সামনেই। ঘটনাটি ঘটে ২০১২ ২৬শে জুলাই।
৫/ নারী নির্যাতন : রাবি শিক্ষিকা ও ছাত্রীকে ছাত্রলীগের ৩ নেতার যৌন হয়রানি : ক্ষোভ : চট্টগ্রামে গার্মেন্ট কর্মীকে গণধর্ষণ
-----------------------------------------
রাজশাহী বিশ্বাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক জিনাতুল ইসলাম জুই এবং সংস্কৃতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী শ্রাবন্তি মজুমদার ৩০ শে জুন ২০১২ বিকেল ৪টায় ক্যাম্পাস থেকে ফিরছিলেন। টুটাকি চত্বরে আসার পর ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহ সভাপতি আখতারুজ্জামান তাকিম (অছাত্র), শিক্ষা পাঠচক্র সম্পাদক নূর জাহিদ সরকার নিয়ন (ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা), সহ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনো ( কম্পিউটার সায়েন্স) তাদের ইভটিজিং করে।
৬/ ছাত্রলীগ নেতার শাস্তি দাবি ঢাবি ছাত্রীদের
-----------------------------------------
এ বছরের জানুয়ারীতে জসিম উদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনি ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করাতে সাধারন ছাত্রীরা প্রতিবাদে মৌন আলোর মিছিল করে। তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি এবং আফরিন নুসরাত। তাদের বক্তব্য ছিল ঢাবি ক্যাম্পাস নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। ভাবে দেখুন, ছাত্রলীগের নারী নেত্রীরাও নিরাপদ বোধ করে না, তাদের নেতাদের কাছ থেকে। আপনি সমকালের ২৭ জানুয়ারীর পত্রিকা চাইলে চেক করে দেখতে পারেন।
৭/ রুনিকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিচ্ছেন না ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা দীপু
-----------------------------------------
মল্লিকা ইতি রুনি, সলিমুল্লাহ মেডিক্যালের ইর্ন্টান ডাক্তার। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দেলোয়ার রহমান দীপুকে ২০১২ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু সামাজিকভাবে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিচ্ছে না। এ বছর ই ২৬শে জুলাই কালেরকন্ঠে নিউজটি প্রকাশ পর্যন্ত রুনি স্ত্রীর মর্যাদা পাননি। বরং তিনি দাবী জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হোন এবং তার গর্ভের অনাগত সন্তান হারান। তিনি মামলা করতে গিয়ে ব্যর্থ হোন। নিজের সন্তানকে গর্ভে থাকা অবস্হাতেই হত্যার জন্য দায়ী দীপু, কোন সন্দেহ আছে কি ?
৮/ মহিলা পুলিশকে ছাত্রলীগের যৌন হয়রানি : আ.লীগ নেতাদের চাপে দোষীদের ছেড়ে দেয়ায় রাজশাহী পুলিশে ক্ষোভ
-----------------------------------------
৬ই ফেব্রুয়ারী ২০১৩ রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্বপালন করসিলেন দুজন নারী পুলিশ। এসময় দুজন ছাত্রলীগ কর্মী তাদের স্পর্শকাতর স্হান হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করে। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জানার পর কর্মী দুজনকে গ্রেফতার করে বোয়ালিয়া মডেল থানায় নেয়া হয়। গ্রেফতারের সময় কর্মীরা জানায়, তাদের ১ ঘন্টা ও আটকে রাখা যাবে না। তাইই হয়েসে। মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন এবং সাবেক সভাপতি ডাবলু সরকার থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরবর্টিতে সাংবাদিকদের পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে এটাও জানানো হয় এই ঘটনাই একমাত্র ঘটনা নয়, এমন যৌন হয়রানির ঘটনা আরো ঘটেসে। বিশেষ করে সরকারদলীয় কোন অনুষ্ঠানে নারী পুলিশ রা নিরাপদে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।
সবশেষে ---
আপনার মা একজন নারী, আপনার নিশ্চয় একটি না হয় দুটি বোন ও আছে। আপনি যদি পুরুষ হোন তবে কোন নারীকেই স্ত্রী হিসেবে বেছে নেবেন। হয়ত আপনি একটি দুটি কন্যার জনক বা জননী হবেন। এদের জন্য দেশের পরিবেশ কি নিরাপদ আছে এখন ? প্রশ্নটি নিজেকে করুন। তবে করে শুধু চুপ করে থাকবেন না। এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ ও তুলুন। প্লিজ....
দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/২৯ মার্চ ২০১৫।