জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চালিত বিজিবি জনগণের মুখোমুখি অবস্থানে যেতে পারে না : সাবেক বিডিআর প্রধান ||

সাবেক বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল (অবঃ) আ ল ম ফজলুর রহমান নিউজ অর্গান ২৪ ডট কমকে বলেছেন,

জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চালিত বিজিবি জনগণের মুখোমুখি অবস্থানে যেতে পারে না।

তিনি বলেন, বিজিবি জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চালিত একটি বাহিনী হয়ে জনগণের মুখোমুখি অবস্থানে যেতে পারে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ডিজি’র বক্তব্য এমন হলে জনগণ আশ্বস্ত হতে পারতো বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের যে ঘোষণা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ দিয়েছেন তা কোন শোভন বক্তব্য হয়নি বলে মনে করেন সাবেক বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল (অবঃ) আ ল ম ফজলুর রহমান।

সাবেক বিডিআর প্রধান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আইনের মধ্য থেকেই যা করা দরকার তাই করবে। এজন্য কি করা হবে আগাম কথা বলা সমীচিন হয়নি। বিজিবি প্রধান যে বক্তব্য দিয়েছেন অতি দ্রুত তার একটি ব্যাখ্যা দিয়ে এই বিভ্রান্তি দুর করা উচিত। কোন বাহিনীর প্রধান এধরণের বক্তব্য দিতে পারেন না। এধরনের বক্তব্য দুঃখজনক।

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিজিবি পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য কাজ করবে। বিজিবির প্রধানের দায়িত্ব সীমান্ত রক্ষা করা এবং যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর সাথে কাজ করা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পুলিশ সরাসরি গুলি করছে। এসব বিষয় নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে।

সাবেক মেজর বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সব ধরনের পন্থা ব্যর্থ হলে অস্ত্রের মিনিমাম ব্যবহার হতে পারে। অর্থাৎ গুলি কোমরের নিচে করতে পারে। যাতে অপরাধী গুলিবিদ্ধ হবে কিন্তু তার মৃত্যু হবে না। এই দেশ, জনগণ এবং সকল বাহিনী সবাই এক এবং একই দেশের সন্তান।

তিনি পরিশেষে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অস্ত্রের ব্যবহার হতে পারে, তবে হত্যা নয়। বিজিবি প্রধান অস্ত্র ব্যবহারে যেভাবে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে জনমনে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। বিজিবি প্রধান এটি করে জনগণের প্রতি এক প্রকার হুমকিই দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহষ্পতিবার বিজিবি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বিজিবি মানুষ হত্যা করতে চায় না। সে ধরনের নির্দেশও বিজিবির ওপর নেই। তবে মানুষ হত্যা করতে দেখলে এবং নিজে আক্রান্ত হলে জীবন বাঁচানোর তাগিদে যে কোনো আক্রমণ প্রতিহত করবে। আক্রান্ত হলে সে নিজের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে, এটা তার অধিকার।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/৪ফেব্রুয়ারি২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post