ভাঙচুরের অভিযোগে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ||

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ সদর থানার ভেতরে অবস্থিত জেলা ট্রাফিক পুলিশের অফিস ভাঙচুর ও ট্রাফিক সার্জেন্ট সালাহউদ্দিন কাজলকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণসহ ১০/১৫ জনকে আসামি করে পুলিশ অ্যাসল্ট আইনে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্মরণের নেতৃত্বে নেতাকর্মীর ট্রাফিক পুলিশ অফিসে আটক দলীয় নেতার মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে আনতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।

রাতেই ট্রাফিক সার্জেন্ট সালহউদ্দিন কাজল বাদি হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় পুলিশ অ্যাসল্টের এই মামলাটি (নম্বর ০৪/২০১৫) দায়ের করেন।

তবে ছাত্রলীগ পুলিশ কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা এবং অফিস ভাঙচুরের ঘটনা অস্বীকার করেছে।

পুলিশ ও মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখার জন্য ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশীদ সালমানের মোরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যান দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট সালাহউদ্দিন কাজল।

খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ট্রাফিক পুলিশ অফিসে যান। তাদের কথামতো তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দিতে অস্বীকার করলে ট্রাফিক সার্জেন্ট সালাহউদ্দিন কাজলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এ সময় অফিসের একটি কম্পিউটার মনিটর ও গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর স্লোগান দিয়ে থানা ত্যাগ করেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্র্বত টহলরত পুলিশ দলগুলোকে থানায় ক্লোজ করে নিয়ে আসা হয়।

এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় আবারো বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

ঘটনার পর পর পৌর বিপণীতে তাৎক্ষণিক একটি সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ পুলিশ কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অফিস ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে বিলবোর্ড লাগানোর জন্য ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশীদ সালমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তিনি স্টেশন রোডের দিকে যাওয়ার সময় তার মোটরসাইকেলটি আটক করে থানায় নিয়ে যান সার্জেন্ট সালাহউদ্দিন কাজল।

স্মরণের দাবি, ‘থানায় গিয়ে তার নিকট পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। ঘুষ দিতে অপারগাত স্বীকার করলে তাকে মারধর ও চাকু দিয়ে আঙ্গুলে আঘাত করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। খবর পেয়ে আমরা তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি।’

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশ অ্যাসল্ট ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post