সেনবাগ: ১৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী সেনবাগ বাসীর জন্য অবিষ্মরনীয়ও বেদনার দিন। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানী শাসন বিরোধী তুমুল আন্দোলনের মধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা নিহত হন।
এ হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় ১৯৬৯সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর সেনবাগে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল কর্মসূচী পালন কালে তৎকালিন পুলিশ নির্বাচারে গুলি চালায় আন্দোলনকারীদের উপর। এতে ঘটনাস্থলে আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সেনবাগ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সামছুল হক, আবুল কালাম, খুরিশদ আলম ও ওফিজের রহমান নিহত হন। এসময় অন্তত ১৭/১৮ জন গুলিবিদ্ব হয়ে আহন হন। ৬৯-এর ১৯ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় পাকিস্তান বিরোধী গণ-আন্দোলন সারা দেশে আরো বেগবান ও উত্তপ্ত হয়ে উঠে। যার ফলে ১৯৭১সালে তুমুল লড়াই শেষে দেশ স্বাধীন হয়।
স্বাধীনতার এত বছর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষনে ও মুক্তি যোদ্ধাদের কল্যানে সরকারি উদ্যোগ কর্মসুচী গ্রহণ করা হলেও সেনবাগে প্রাণ উৎসর্গকারী এ চার শহীদের স্মরণে বা তাদের পরিবারের সদস্য এমনকি এ সময়ে পুঙ্গত্ব বরণকারী সাহায্যার্থে আজ কোন সরকারি বে- সরকারী পর্যায়ে সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি কেউ।
ওই ঘটনার কিছু দিন পর তৎকালিন রাষ্ট্রপ্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সেনবাগে এসে শহীদদের কবর জেয়ারত করেন। প্রতিটি শহিদ পরিবারকে নগদে ৫’শ টাকা ও একটি করে সনদ প্রদান করেন। শহীদদের প্রাপ্তি এতটুকুতেই শেষ।
সম্পতি স্থানীয়রা শহীদ সামছুল হক স্মরণে উপজেলার জিরুয়া গ্রামে তার কবরস্থানে পাশে একটি মসজিদ স্থাপন করে।
এরপর দাপে দাপে ক্ষমতার পালা বদল হলেও বদলায়নি সেনবাগের সেই চার শহিদ পরিবারের অবস্থা।
এদিকে দিনটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল এবং চার শহিদের রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতির দাবিত মানববন্ধনের কর্মসুচী গ্রহন করেছে রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির।
দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।