আওয়ামী লীগ সরকারকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কড়া হুঁশিয়ারি ||

শনিবার এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারকে সবার মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং স্বেচ্ছাচারী শক্তি প্রয়োগ, গ্রেপ্তার এবং গুম বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত সহিংসতা এবং অন্যান্য দমনপীড়নের অবসানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত এক মাসে ৬০ জনের মত লোক নিহত, শত শত লোক আহত এবং হাজার হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব রাজনৈতিক নেতার উচিত স্পষ্ট বিবৃতি দেয়া যে তাদের অনুসারীরা যেন অবৈধ সহিংসতায় না জড়ায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে ঘিরে সহিংসতায় ৫০০ এর বেশি লোক নিহত হয়েছে। তখন সরকার নির্বিচারে গ্রেপ্তার, হত্যা ও গুমের মাধ্যমে সহিংসতা বন্ধের চেষ্টা করে। বর্তমানে আবার একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সহিংসতায় অন্যতম ভয়ঙ্গর সংযোজন হচ্ছে পেট্রোল বোমা।

তবে এ ঘটনায় এক দল আরেক দলকে দায়ী করছে জানিয়ে বিবৃবিতে বলা হয়, এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেছেন, এজন্য সর্বাংশে আওয়ামী লীগ দায়ী।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রায় ১৭ জন লোক নিহত হয়েছে। এর কোনোটির ক্ষেত্রে পুলিশ বন্দুকযুদ্ধের কথা বলছে আবার অন্য ক্ষেত্রে লাশ উদ্ধারের দাবি করছে। তবে পরিবারের লোকজন বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতেই তারা নিহত হয়েছেন। সরকার দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার জামায়াতে ইসলামীর বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। ভারতেও উচিত নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান জানানো। কারণ বাংলাদেশের দলগুলো ভারতের কথায় গুরুত্ব দেয়।
অ্যাডামস বলেন, ‘বাংলাদেশে যে নিপীড়ন চলছে তাতে বিশ্ব নীরব থাকতে পারে না। রাজনৈতিক নেতাদের কড়া ভাষায় বলে দেয়া দরকার যে এই রক্তপাত বন্ধ না হলে অন্য দেশের সাথে তাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।’

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post