চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযান- ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ ||

​চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে জামায়াত সমর্থিত দুই ইউপি মেম্বারসহ পাঁচ নেতার ঘর ভাঙচুর ও তছনছ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ২০ লাধিক টাকার তি হয়েছে। এ সময় পুলিশ জামায়াত-শিবিরের ৯ নেতাকর্র্মীকে আটক করে। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, যৌথবাহিনীর একটি দল গভীর রাতে উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের কুমিল্লা দণি জেলা শিবির সেক্রেটারি আমজাদ হোসাইন রুমন, একই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের জামায়াত সমর্থিত ইউপি মেম্বার আবদুল মোতালেব, কালিকসার গ্রামের ইউপি মেম্বার বাদল, জামায়াত কর্মী হোসেন ও পৌরসভার দণি ফালগুনকরা গ্রামের শিবিরকর্মী হাসানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তারা ওই নেতাকর্মীদের না পেয়ে হাতে থাকা অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাদের সবার ঘরের দরজা, জানালা, টিভি, ফ্রিজসহ যাবতীয় মালামাল ভাঙচুর ও তছনছ করে। যৌথবাহিনীর হামলায় শিবির নেতা রুমনের মা নিলুফা ইয়াসমিন (৪৫) আহত হন। অভিযানের সময় তারা ল্যাপটপসহ বেশ কিছু মালামাল নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করা হয়। অভিযানকালে জামায়াত-শিবিরকর্মী বাতিসা ইউনিয়নের দেবিপুরের শেখ আহমদ, সোনাপুরের বেলায়েত হোসেন, আনোয়ার, হাসান, দণি ফালগুনকরার আবুল হাশেম, ফয়সাল, লুদিয়ারা নিশান, মঞ্জুর হোসেনসহ ৯ জনকে আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াত আমির সাহাব উদ্দিন ও সেক্রেটারি শাহ মো: মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ ও বিজিবি বিনা উসকানিতে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। স্বাধীন দেশে আইনশৃঙ্খলা রার কাজে নিয়োজিত থেকে তারা নিজেরাই অপরাধ করছে। তারা পুলিশকে জনগণের হয়ে কাজ করারও আহ্বান জানান।’

এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, ‘পুলিশ রাতে মহাসড়কের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। গ্রামে ঢুকে বাড়িঘর ভাঙার প্রশ্নই ওঠে না।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post