লোহাগাড়ায় শিবির নেতা শাকিবের জানাজায় মানুষের ঢল ||

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুবরনকারী শিবির নেতা শাকিব আল হাসানের জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় লোহাগাড়া উপজেলা পুটিবিলা তাতীপাড়ার নিজগ্রামে শাকিবের জানাজা অনুষ্টিত হয়। জানাজায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মৌলানা মুমিনুল হক চৌধুরসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃদ্ধ উপস্থিত ছিলেন। জানাজায় বক্তব্য দিতে গিয়ে মুমিনূল হক চৌধুরী তার জামাতা চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আওয়ামীলীগ এমপি আবু রেজা নদভীর জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। এসময় তিনি তার জামাতার উদ্দ্যেশ্যে বলেন তুমি ভাল মাদ্রাসার ছাত্রছিলে। আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীর দল, আওয়ামীলীগ জুলুমবাজের দল। ওই দল তুমি করতে পার না। ওই দল থেকে তুমি ফিরে আসো।

শাকিবের ফুফাত ভাই শাহেদুল হক জানান, গত ২০ নভেম্ভর সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনিতী বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র শাকিব আল হাসান চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফের বাসা থেকে টিউশিনি করতে বের হয়ে ফিরে না আসায় স্বজনরা তাকে রাতে খোজাখুজি করে। পরে ওইদিন রাত ৩ টায় চমেক হাসপাতাল থেকে তার বেডের পাশের এক লোকের মোবাইল নং থেকে তার মাকে বলা হয় তার ছেলে শাকিব ওই হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছে। পরদিন ভোরে শাকিবের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে দেখে কপালে আঘাতের চিহ্নসহ গুরুতর আহত শাকিব পুলিশ পাহারায় হাতকড়া পড়া অবস্থায় হাসপাতালের বেডে। দায়িত্বরত পুলিশ শাকিবের স্বজনদের নিয়ে কোতায়ালী থানায় যান। থানা থেকে তাদের জানানো হয় শাকিব ককটেল বিস্ফোরন করতে গিয়ে নিজেই আহত হয়েছে। থানায় শাকিবের ৪জন আত্বীয়কে প্রায় ৪ ঘন্টা বসিয়ে রেখে শাকিবের বিরুদ্ধে একটি মামলা দিয়ে তাদের বিদায় করেন। এদিকে শাকিবের পরিবারের লোকেরা তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার অনুমুতি চাইলে পুলিশ তা দেননি। পরে তিনদিন পর তার অবস্থার অবনতি হলে পুলিশ বাইরে চিকিৎসার অনুমতি দেন। অনুমতি পেয়ে শাকিবের স্বজনরা চট্টগ্রামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে একদিন চিকিৎসা দেয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরে তাকে ঢাকার এপ্যোলো হাসাপতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ২৭ জানুয়ারী দিবাগত রাত ৩টায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশের নির্যাতন ও পরে চিকিৎসা করতে বাধা দেওয়ার কারনেই শাকিবের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করছেন শাকিবের পরিবার। শাকিবের মামা বলেন, তার ছেলে টিউশিনি করতে বের হয়েছিল, পুলিশ তাকে ধরে নির্যাতন করে ককটেল বিস্ফোরনের নাটক সাজানোর চেষ্টা করছে।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/১ফেব্রুয়ারি ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post