কুমিল্লা ইপিজেডের বিদেশি কোম্পানির ৩১ লাখ টাকা লুট করেছে ছাত্রলীগ নেতা ||

কুমিল্লা ইপিজেডে তাইওয়ানের ইয়াগোটেক্স ফেব্রিক্স নামের শিল্প প্রতিষ্ঠানের এমডি হুয়াংজুন ইউকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৩১ লাখ টাকা লুটে নিয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতা।

এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মহানগরীর টমছমব্রিজ এলাকার এএইচএম মহিউদ্দিনের ছেলে সোহেল ইবনে মহিউদ্দিন।

মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা ইপিজেডে তাইওয়ানের ইয়াগোটেক্স ফেব্রিক্স নামীয় কোম্পানির এমডি হুয়াংজুন ইউ কুমিল্লা মহানগরীর হাউজিং এস্টেটের ৩ নম্বর সেকশনের ‘পি’ ব্লকের ৩ নম্বর প্লটের আবেদ ভিলা নামের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন। গত বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মহানগরীর টমছমব্রিজ এলাকার এএইচএম মহিউদ্দিনের ছেলে সোহেল ইবনে মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি দল হাউজিং এস্টেট এলাকায় হুয়াংজুন ইউ’র বাসায় গিয়ে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে। পরে সন্ত্রাসীরা হুয়াংজুন ইউকে একটি গাড়িতে উঠিয়ে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকা দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে। এসময় তার নিকট ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার চাঁদা দাবি করে।

একপর্যায়ে তাকে গাড়িতে করে পুনরায় হাউজিং এস্টেটের ওই বাসায় এনে পিস্তল ঠেকিয়ে কোম্পানির প্রাইম ব্যাংক কুমিল্লা শাখার হিসাবের চেক (নং- ৩৪০৩)-এ ২৩ লাখ টাকা লিখিয়ে অনলাইনে সোহেল ইবনে মহিউদ্দিনের আব ইয়াজ এণ্টারপ্রাইজ নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করে, এছাড়া বাসায় থাকা নগদ ৮ লাখ টাকাসহ মোট ৩১ লাখ টাকা লুটে নেয়। এসময় তার কাছ থেকে আরও ২টি অলিখিত চেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়। এ বিষয়ে হুয়াংজুন ইউ বাদী হয়ে সোহেল ইবনে মহিউদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামি করে বুধবার গভীর রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন।

সূত্র আরো জানায়, সোহেল ইবনে মহিউদ্দিন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং তিনি ১ বছর আগে ঢাকার আজাদ নামের এক ব্যবসায়ীর ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. খোরশেদ আলম জানান, স্পর্শকাতর এ মামলাটি পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা ডিবি’র এসআই ফিরোজ হোসেন জানান, এ ঘটনায় সোহেলের স্ত্রী দিপ্তীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
কুমিল্লা ইপিজেডের জিএম আবদুস সোবহান জানান,আইন শৃংখলা বাহিনীর মাধ্যমে ৩১লাখ টাকা উদ্ধারে আমরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/৩০ জানুয়ারি ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post