কোম্পানীগঞ্জে মহিলা মাদরাসায় পুলিশের অভিযান

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী মহিলা মাদরাসায় ইউ এনও’র নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় মাদরাসার অফিস কক্ষ থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক জেহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জামায়াত নেতাসহ দুইজনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  কোম্পানীগঞ্জের পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের চরহাজারী মহিলা মাদরাসায় জামায়াত সমর্থিত লোকজন জড়ো হয়ে নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে এ সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জালাল সাইফুর রহমান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এম সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লোকজন পালিয়ে যায়। পরে ইউএনও’র নেতৃত্বে পুলিশ মাদরাসার অফিস কক্ষ থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক জেহাদী বই উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মাদরাসার প্রিন্সিপাল নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজ মারার গ্রামের নূর নবীর ছেলে মো: নূরুল করিম ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও চরহাজারী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাষ্টার ফজলুল করিমকে আসামী করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন (সংশোধিত) ২০০৭ সালের ৩নং অধ্যাদেশের ১৬(২)/২৫-ঘ ধারায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ত্বের নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অপরাধের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এম সাজেদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই লোকজন পালিয়ে যাওয়ার কারনে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/০৬ ডিসেম্বর ২০১৪

Post a Comment

Previous Post Next Post