কোনো পরাশক্তি ইসলামকে উৎখাত করতে পারবে না : জুনায়েদ বাবুনগরী

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র ধর্ম। আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলামকে নিয়ে কাউকে কটূক্তি করতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের ভাগ্য ইসলামের সাথেই জড়িত। এ দেশের নব্বই ভাগ মানুষ মুসলমান। বাংলাদেশে একটি কুচক্রী মহল ইসলামকে নির্মূল করতে চায়। কোনো পরাশক্তি বাংলার মাটি থেকে ইসলামকে উৎখাত করতে পারবে না। যারা উৎখাত করতে চায় তারাই উৎখাত হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ!

গতকাল রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ:-এর ছেলে ও বাংলাদেশ খেলাফাত আন্দোলনের আমিরে শরীয়ত হাফেজ মাওলানা শাহ আতাউল্লাহর সভাপতিত্বে মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুফতি দেলোয়ার হুসাইন, মাওলানা মনজুরুল ইসলাম, মধুপুরের পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল হামীদ, শাইখুল হাদিস আল্লামা সুলায়মান নূমানী, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী প্রমুখ।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ঢাবি থেকে তিনজন নামাজি ছাত্রীকে বহিষ্কার করায় এর তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, মুসলমানদের টাকায় পরিচালিত ঢাবি, চবি, রাবি এখন নাস্তিক্যবাদের কারখানায় পরিণত হতে চলছে। সেখানে এখন ইসলামকে সহ্য করতে পারে না। নাস্তিকেরা হলো আমাদের দেশের জন্য ভয়ঙ্কর। নাস্তিক্যবাদের ফেতনাই সবচেয়ে বড় ফেতনা। এই ফেতনা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হেফাজতের ১৩ দফা মেনে নেয়া হলে লতিফ সিদ্দিকীর মতো নতুন কোনো নাস্তিক তৈরি হতো না। তিনি অবিলম্বে লতিফ সিদ্দিকীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

তিনি আল্লাহর জমিনে আল্লাহর খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সব কিছুর মালিক আল্লাহতায়ালা। মালিকানা যার, আইন তার। সুতরাং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন চলবে। সংসদেও আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। সংসদে আইন পাস করে ধর্মদ্রোহীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।

হেফাজতে ইসলামের মত বিনিময়
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের এক মতবিনিময় সভা গতকাল লালবাগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার পর এটাই ছিল তার প্রথম ঢাকা সফর।

সভায় জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, বাতিল ও তাগুতের বিরুদ্ধে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ সংগ্রামের বিকল্প নেই। বাতিল ও তাগুতের সাথে আপস নেই। মুরতাদ ও নাস্তিক্যবাদী আল্লাহর দুশমনদের যারা উসকে দিচ্ছে, প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং লালন করছে তাদের কোনো ছাড় নেই। ধর্ম অবমাননা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবলিত আইন করার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মুফতি তৈয়ব হোসাইন, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ডিসেম্বর ৬, ২০১৪

Post a Comment

Previous Post Next Post