সোনাইমুড়ী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার গজারিয়া নামক স্থানে এক দোকানে তালা দিয়েছে ক্ষমতাশীন দলের লোকজন। সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে রবিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হাফেজ আয়েত উল্যাহ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বাদীকে বিভিন্ন প্রকার হুমকী ধমকী দিয়ে মামলাটি তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে ক্ষমতাশীন দলের লোকজন।
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সোনাইমুড়ীর গজারিয়া নামক স্থানে পিতা মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে চা দোকানদার হাফেজ আয়েত উল্যাহ (৭০) ঐ এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন টিটু থেকে ঘরটি ভাড়া নিয়ে ৩ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছিল। উক্ত জায়গাটি সরকারের ১নং খতিয়ানের সম্পত্তি।
ঘরের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন টিটু সোনাইমুড়ীর মদিনাপ্লাজার লির্ভাটিমাল্টি পারাপাস থেকে ঐ সরকারী সম্পত্তি বন্দক রেখে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। ঋণের সুদ সহ মোট ৮৫ হাজার টাকা টিটু দিতে না পারায়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও টিটু সহ ঐ ঋণ শোধ করিতে ভাড়াটিয়া কে স্টামের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত দেন। এই টাকাগুলো ঘরের ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী হাফেজ আয়েত উল্যাহ পরিশোধ করার পরও গত রবিবার সন্ধ্যায় সোনামুড়ী পৌর এলাকা থেকে ক্ষমতাশীন দলের কয়েক জন লোক গিয়ে দোকানের সাটার বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেয়। দোকানের ভিতরে থাকা প্রায় ৩০ হাজার টাকার বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য নষ্ট হয়ে যায়। পরে ক্ষমতাশীন দলের লোকজন তালাটি খুলে দিতে ঐ ব্যবসায়ী থেকে ২ ধাপে ১১ হাজার টাকা নিয়েও প্রতারণা করে তালাটি খুলেনি। ব্যবসায়ী বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করলে পুলিশ এসে তার ৩টি সাটারের মধ্যে ১টি সাটারের তালা খুলে দেয়। এ ঘটনায় ক্ষমতাশীন দলের লোক জন ব্যবসায়ীকে হুমকী ধমকী দিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে থানায় নিয়ে মামলাটি তুলে নেওয়ার হুমকী দেয়। বর্তমানে ব্যবসায়ী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে বলে জানান।
সোনাইমুড়ী বাজারের এক জন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দলীয় লোকজনের তা-বে সোনাইমুড়ীতে আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতির দিকে। এই উপজেলার ব্যবসায়ীরা তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তাদের চাঁদা না দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, দখল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা দেওয়ার একাধিক অভিযেগ রয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি আশরাফ উল ইসলাম উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ইকবাল বাহার চৌধুরী দোকানে তালা দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। বিষয়টি মিমাংশা করার জন্য চেষ্টা চলছে।
উৎস: পেইজবুক