আওয়ামী অপপ্রচার শিবিরকে জনগণের আরও কাছে নিয়েছে : আবদুল জব্বার

সরকার অপপ্রচার চালিয়ে ছাত্রশিবিরকে দমানোর চেষ্টা করেছে অভিযোগ করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেছেন, এসব অপপ্রচার কোনো কাজে দেয়নি। বরং আওয়ামী অপপ্রচার ছাত্রশিবিরকে জনগণের আরো কাছে নিয়ে গেছে।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ যে ছাত্রশিবিরকে বিপদে-আপদে পাশে পেয়েছে, সেই সংগঠনের বিরুদ্ধে চালানো অপপ্রচার ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি শনিবার ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ আয়োজিত শাখা প্রচার সম্পাদকদের শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার এক দিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্যাতন-নিপিড়ন চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা অপপ্রচারকে বড় হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছে। আমাদেরকে এসব অপপ্রচারের শক্ত জবাব দিতে হবে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মনির আহমেদের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আলমগীর মো. ইউসুফ, সাবেক প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়া, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সমাজ সেবা সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক জিসান আহমেদ প্রমুখ।

শিবির সভাপতি বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে আমরা অপশাসন ও অপপ্রচারের চূড়ান্ত নমুনা প্রত্যক্ষ করেছি। দেশ সন্ত্রাস ও দুর্নীতিতে তলিয়ে গেছে, কিন্তু আওয়ামী মন্ত্রী-এমপিরা টেপ রেকর্ডারের মতো উন্নয়নের কথা বলে গেছে। যে কোনো অপরাধ-অপকর্ম ঘটলেই তারা বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের ওপর দায় চাপাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসব যে নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতেই করা হচ্ছে, তা সচেতন মানুষ জানেন। আমাদেরকে আওয়ামী অপপ্রচারের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। এই সরকার ডিজিটালের কথা বলে জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে। এই প্রতারণার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে- এই বাকশালী দলটি যা বলছে, বাস্তবে তার উল্টোটা করছে।
তিনি বলেন, ছাত্রশিবির সব সময় আদর্শের পক্ষে যেমন কথা বলেছে, তেমনিভাবে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে আদর্শের চর্চা যেন বজায় থাকে, সেই চেষ্টা করে আসছে। জাতির প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কাজ করে চলছে। সরকার যখন দেশের জনগণের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ, দরিদ্র-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ; তখন ছাত্রশিবির তার সীমিত সামর্থ্য নিয়েও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দরিদ্র, মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষার সুযোগ করে দিতে ছাত্রশিবির ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। ছাত্রসমাজ যেন মেধা বিকাশের পাশাপাশি সচ্চরিত্র অর্জনেও সচেষ্ট হয়, সেজন্য এই সংগঠন পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে।

ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে ছাত্রশিবিরের নানামুখী গঠনমূলক কর্মসূচি দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। জালিম সরকারের অপশাসনের বিপরীতে ছাত্রশিবির কি করছে তা মানুষ বুঝতে পেরেই দলে দলে ছাত্ররা এই সংগঠনে যোগ দিচ্ছে। আমাদের প্রচারণা আরো ছড়িয়ে দিতে পারলে আরো অসংখ্য ছাত্র এই পবিত্র সংগঠনে যোগ দেবে।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয়। বাকস্বাধীনতা ও তথ্য প্রবাহের গতি রুদ্ধ করতে সরকার সমপ্রচার নীতিমালা করেছে। সচেতন গনগণ এই নীতিমালা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। নীতিমালা করে সরকার খুন, গুমের অপরাধকে ঢাকতে পারবে না। দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্র জনতা আন্দোলনের মাধ্যমেই এই জালিম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
শিবির সভাপতি ইসলামের সৌন্দর্য সাহাবাদের মতো করে মানুষের সামনে তুলে ধরতে সমবেত প্রচার সম্পাদকদের প্রতি আহ্বান জানান।

শিবির প্রচার বিভাগ

Post a Comment

Previous Post Next Post