নোয়াখালীর সেনবাগের সেবারহাটে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ১১৬ তম শহীদ নিজাম উদ্দিন ভাইয়ের ১৩ তম শাহাদাত বার্ষিকি উপলক্ষে সেনবাগ দক্ষিণ সাথী শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় সেবারহাট কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান মেহমান হিসেবে আলোচনা রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় এইচ আর ডি সম্পাদক আহাম্মেদ সালমান, বিশেষ মেহমান হিসেবে আলোচনা পেশ করেন সেনবাগে জামায়াত ইসলামী থেকে দুইবার নির্বাচিত উপজেলা ভাইস্ চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল মালেক সাহেব, সেনবাগ থানা জামায়াত সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আফছার, ছাত্র শিবির নোয়াখালী উত্তর জেলা সভাপতি মু. মায়াজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক আবু ছালেহ মু. জায়েদ, সাবেক জেলা সভাপতি নুরুল হুদা মিলন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মেধাবী ছাত্র শহীদ নিজাম উদ্দিন প্রতিভাবান দায়িত্বশীলদের প্রচেষ্টায় শহিদী কাফেলায় অংশ গ্রহন করে স্মৃতির পাতায় তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে গেলেন। যার স্মৃতি গুলো আমাদেরকে সব সময় তাড়িয়ে বেড়ায়। যার শুন্যতা আজও তার সাথীদের প্রতিটি রাত অশ্রু ঝরে, যে রক্ত গুলো জল হয়ে চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে, নোয়াখালী উত্তর জেলা যার রক্তে উর্বর এবং প্রতিনিয়ত দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলের ডাক দিয়ে যায় তিনি হলেন চৌমুহনী সরকারী এস. এ. কলেজের মেধাবী ছাত্র আমাদের প্রিয় ভাই "শহীদ নিজাম উদ্দিন" ২০০১ সালের ২৮ আগস্ট সেনবাগের তৎকালীন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হয়ে চলে গেলেন প্রভুর কাছে, চির জান্নাতে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট ২০০১, সকাল ১০ টা। শহীদ নিজাম উদ্দিন বাড়ী থেকে বের হয়ে রিক্সা যোগে সেবার হাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে সেবারহাটের অধুরে ধর্মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হানিফ মিয়ার দোকানের সন্মুখে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত আক্রমন করে। শহীদ নিজাম উদ্দিন রিক্সা থেকে পড়ে গেলে উপর্যুপরি কুপিয়ে তার মাথা শরীর ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে। হাত ভেঙ্গে ফেলে। এরপর গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। শহীদ নিজাম উদ্দিনকে প্রথমে সেনবাগ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আনার পথে শাদাত বরণ করেন।
উত্তম চরিত্র গঠন ছিলো নিজামের শাহাদাতের কারণ। আল্লাহর দিকে আহবান করাই ছিলো তার দোষ। সাহসিকতা প্রদর্শন করাই ছিলো নিজাম উদ্দিন টার্গেটে পড়ার কারণ। সন্ত্রসীরা মনে করে ছিলো নিজাম উদ্দিন যদি এলাকাতে প্রাধান্য বিস্তার করে তাহলে তারা আর সন্ত্রাস করতে পারবেনা। তাদের সন্ত্রাসের পথে নিজাম উদ্দিনই এক মাত্র বাধা। তাই তারা পথের বাধা দুর করতে হত্যার পথ বেছে নিলো। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা আল্লাহর দরবারে বিচার দিয়ে রাখলাম এবং দোয়া করি শহীদ নিজামের শাহাদাতের বিনিময়ে আল্লাহ যেন এদেশকে ইসলামের জন্য কবুল করেন। বাংলাদেশ কে সন্ত্রসীদের কবল থেকে মুক্ত করুন। শহীদ নিজামের রেখে যাওয়া অপুর্নাঙ্গ কাজ সমাধা করার তাওফিক যেন আল্লাহ আমাদের কে দান করেন। আমীন।
সভা শেষে আল্লামা সাঈদী সহ জামায়াত - শিবিরের সকল নেতা কর্মীর মুক্তি ও শহীদ নিজামের হত্যা কারীদের ফাঁসির দাবীতে সেবারহাট বাজারে এব বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সেনবাগ প্রতিনিধি/এমএএইচআর/২৮ আগস্ট ২০১৪