মাদরাসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি : তছবিহ পড়া ও শিরনি খাওয়া ছাড়া মাদরাসা ছাত্রদের কাজ নেই বললেন মন্ত্রী মহসিন আলী

মাদরাসা প্রাঙ্গণের জনসভায় মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে এ শিক্ষা বন্ধের হুমকি দিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর দেয়া বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় চলছে।

তিনি বলেন, মাদরাসার ছাত্ররা সারারাত তছবিহ পড়ে সকালে এক হাজার টাকা নিয়ে যায়। তছবিহ পড়া আর শিরনি খাওয়া ছাড়া তাদের কোনো কাজ নেই।

মাদরাসা শিক্ষা মানসম্মত নয় ও মাদ্রাসার ছাত্ররা কামিল পাস করে ইংরেজিতে প্রেসিডেন্টের নাম লিখতে পারে না অভিযোগ করে মাদরাসা গুলো তদন্ত করে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করেন।

শনিবার দুপুরে তিনি নবীগঞ্জ নয় মৌজা তাহিরপুর ইত্তেফাকিয়া আলীয়া মাদরাসা মাঠে আপ্তাব-খুদেজা শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

এতে তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার দরকার নেই কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। মাদ্রাসার যে ছাত্র ইংরেজি নাম-ঠিকানা লিখতে পারে না তাদের দিয়ে আমাদের কোনো লাভ নেই। মাদরাসার হুজুর মানুষের বাড়ি দাওয়াত খাওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ করেন না।
আগামীতে আমি হবিগঞ্জ মৌলভীবাজার এলাকার প্রত্যেকটি মাদরাসা পরিদর্শন করে যথাযথ শিক্ষার মান না পেলে সুপারদের মাদরাসা থেকে বাহির করে দেব। এ ব্যাপারে কোনো আপষ নেই, ভালো মানের শিক্ষা ছাড়া উপায় নেই। আধুনিক শিক্ষা ছাড়া দেশে সুনাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা লন্ডন প্রবাসী শামীম আহমদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের এমপি এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের এমপি এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দিলীপ কুমার বণিক, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ লুত্ফুর রহমান, হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজের অধ্যক্ষ বিজিত কুমার ভট্রাচার্য্য, সিলেট মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, প্রয়াত মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর পুত্র হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী।

নিজস্ব সংবাদাতা/দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/০৩ আগস্ট ২০১৪

Post a Comment

Previous Post Next Post