যারা জামায়াত-শিবিরকে যুদ্ধাপরাধী বা রাজাকার বলে তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন - এম এ রায়হান

যেইসব আবাল গুলা না বুঝে জামায়াত-শিবিরকে যুদ্ধাপরাধী বা রাজাকার বলে এবং জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে না বুঝে উল্টা পাল্টা কথা বলে সেই আবালগুলার কাছে কিছু প্রশ্ন ??

♥জামায়াত-শিবিরের দুই গ্রুপের কোনো দিন সংঘর্ষ হইছে ?
♥জামায়াত-শিবিরের দায়িত্ব বন্টন বা কেন্দ্রীয় জেলা, থানা অথবা অন্য কোনো (দায়িত্বশীল) নির্বাচনে আজ পর্যন্ত কোন মারামারি হইছে ? হয়নি!  কারন এদের গঠনতন্ত্র এতোই শক্তিশালী এবং নিখুত যে কারো ব্যক্তি স্বার্থ এখানে স্থান নাই।
♥কোন শিবির কে কোনো দিন চাঁদাবাজি, ভর্তি বানিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষন করতে দেখেছো ?  নাকি এই সব করে কেউ কখনো মামলা খাইছে ?
♥কখনো কি দেখেছেন জামায়াত-শিবিরের মধ্যে গ্রুপিং হইতে ? এরা এতোটাই ঐক্যবদ্ধ যে কখনো নেতার আনুগত্যের বাহিরে যায়নি।
♥২০০৬ সালের ২৮ এ অক্টোবরের মত দিনেও তো জামায়াত শিবির কারো গাড়ি তো দূরের কথা একটা বাড়ির গ্লাসেও পাথর
মারেনি ! কিংবা জামায়াত- শিবিরের নেতা'রা তো এমন কোনো ঘোষনা দেয়নি যে, একটার বদলে ১০ টা লাশ ফেলো !
♥ছাত্রী সংস্থার বোনদের তো কোনো দিন কেউ দেখেনি রাস্তায়, পার্কে ছেলেদের গলা জড়িয়ে মাতামাতি করতে !

♦এই রকম আমরা হাজার হাজার উদাহরণ দিতে পারি, এইখানে যে পয়েন্ট গুলো দিলাম তা কি কেউ প্রমান করতে পারবে নাকি কেউ কখনো এই গুলো টিভি-পত্রিকায় দেখেছেন বা পড়েছেন ?

♦আর শাহবাগিদের উদ্দেশ্যে বলছি, তোমরা আজ দেশ প্রেমের আবেগ-ভালোবাসার নামে শাহবাগ যাচ্ছ !  আমাদেরকে আবেগ আর ভালোবাসা শিখাচ্ছ !
আবেগ আর ভালোবাসা আমরা দেখেছি, আবেগ আর ভালোবাসা কাকে বলে তা যদি শিখতে হয়, তাহলে শিবির থেকে শিখো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময ছাত্রশিবিরের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি মুঃ রেজাউল করিম ভাই "ফেনী ফালাহিয়া মাদ্রাসা" ময়দানে তার বক্তব্যে যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারী শহীদ সরিফুজ্জামান নোমানী ভাইয়ের শাহদাতের বর্নণা দিচ্ছেন তখন পুরো ময়দান কান্নায় থরথর করে কাঁপছে। এই ভাবে আজ পর্যন্ত প্রত্যেকটা শহীদ ভাইদের জন্য আমাদের আবেগ আর ভালোবাসায় কান্না আসছে। এইটা- ই হচ্ছে ভালোবাসা।

♥দুর্নীতি মুক্ত প্রতিষ্ঠান দেখতে চাও ? জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান গুলো দেখো, কত লাভজনক আর কত সৎ। আরো দেখবে জোট সরকারের সময়কার দুইজন মন্ত্রী বলেছেন "আমার মন্ত্রনালয়ে যদি কেউ ১ পয়সার দুর্নীতি দেখাতে পারেন তবে আর সারা জীবন রাজনীতি করবোনা। একজন হলেন কৃষি ও শিল্প মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, দ্বিতীয় জন হলেন সমাজকল্যান মন্ত্রী আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ।

আলহামদুলিল্লাহ!
পারেনি ডঃ ফখরুদ্দীন সরকার দুর্নীতির দায়ে জামায়াতের কোনো নেতা কে জেলে আটকাতে। এটা তো এই তরুন প্রজন্মের স্বচক্ষে দেখা।

♠তাই বলি সততা, আন্দোলন, দেশপ্রেম, আবেগ-ভালোবাসা, নেতা-নেতৃত্ব, অটল সংগ্রাম, ধৈর্য, সহযোগিতা, শান্তি পেতে চাও,
খুঁজতে চাও, দেখতে চাও তবে জামায়াত - শিবিরের কাছে যাও।

♠আজ যারা যুদ্বাপরাধীর নোংরা কালি জামায়াত নেতাদের পবিত্র গায়ে লেপন করে দিচ্ছে তাদের আর জামায়াত নেতাদের অতীত বর্তমান চারিত্রিক পার্থক্য নির্নয় করার মহান দায়িত্ব আপনাদের বিবেকে উপর ছেড়ে দিলাম।

♠যাদের নামে আজ খুন ও ধর্ষণের এই ভয়ংকর তথ্য গুলো দিচ্ছে তাদের নামে গত ৪১ বছরেও ধর্ষন, হত্যা, খুন এই গুলার একটা মামলাও হয়নি। এমনকি শেখ মুজিবুর রহমান চিহ্নিত ১৯৫ জন যুদ্বাপরাধীর তালিকায় ও ছিলনা, ছিলনা যুদ্ধপরবর্তী ২৮ হাজারের
তালিকায়ও।

এইজন্যই বলি----- চোখ, কান, মন খুলে পৃথিবীটা দেখো বুঝতে পারবে কেন জামায়াত শিবির নির্যাতিত হচ্ছে ?
তাই সময় এসেছে জেগে উঠার, গর্জে উঠার, ইসলামের পবিত্র কালিমা বুকে নিয়ে বাতিলের মুখোমুখি দাঁড়াবার।

[লেখক- এম এ রায়হান, সাবেক ছাত্রনেতা,সেনবাগ, নোয়াখালী]

Post a Comment

Previous Post Next Post