সেনবাগে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ঘরবাড়ি ভাংচুর : আহত ২০

সেনবাগপ্রতিনিধি: নোয়াখালীর সেনবাগে নারী সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে পাইখাস্তা ও অশ্বদিয়া নামে দু’গ্রামবাসীর লোকজনের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় চার বাড়ির বারটি পরিবারের হামলা, বশত ঘর ভাংচুর, চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মহিলাসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। 

এদের মধ্যে গুরুতর আহত- আবদুল মোতালেব (৪৫), রোকশানা আক্তার (২০) এই দুইজনকে সেনবাগ সরকারি হাসপাতাল এবং গিয়াস উদ্দিন (২০), মো. ছায়িদ (১৬) ও রাহেলকে (১৪) ফেনী প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের পাইখাস্তা গ্রামের নুরুল হক ওরপে ছুট্টু মিয়ার মেয়ের সাথে পার্শ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসুদাই এলাকার অজ্ঞাত একটি ছেলের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এরই সূত্র ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর অজ্ঞাত ওই ছেলেটি প্রেমিকার সাথে দেখা করার জন্য পাইখাস্তা এলাকায় আসে। পরে রাতে ছেলেটির গতিবিধি সন্ধেহ হলে পাইখাস্তার লোকজন ওই ছেলেটিকে ধরে স্থানীয় রুহুল আমিনের বাড়িতে নিয়ে মারধর করে ছেড়ে দেয়। এ সময় রাত সাড়ে নয়টার দিকে স্থানীয় অশ্বদিয়া গ্রামের লোকজন ঘটনাটি শুনে লাঠিসোটা নিয়ে দলবল সহকারে পাইখাস্তা গ্রামের লোকদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এতে করে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় গ্রামের লোকজন ভয়ে ও আতংকিত হয়ে পড়ে। প্রকাশ থাকে যে, বাসুদা গ্রামের ছেলেটির অশ্বদিয়া গ্রামে আত্বীয়র সম্পর্ক ছিলো।

খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেনবাগ থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। 

এঘটনায় পাইখাস্তা গ্রামের সুজন ভুইয়া বাদী হয়ে গতকাল শনিবার সকালে সেনবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যাপারে সেনবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিক জানান, পাইখাস্তা গ্রামের সুজন ভুইয়া বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দাখিল করেছেন।

সেনবাগ প্রতিনিধি/এমএআর/দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ০৩ আগস্ট ২০১৪

Post a Comment

Previous Post Next Post