প্রশংসা সবই শুধু যে তোমারি হে রাব্বুল আলামিন

(১) শুরু করছি আল্লাহ-র নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। (২) যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা'আলা-র যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
(৩) যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
(৪) যিনি বিচার দিনের মালিক।
(৫) আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধু মাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
(৬) আমাদেরকে সরল পথ দেখাও।
(৭) সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ।তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
[আল কুরআনঃ সূরা আল ফাতিহা: মক্কায় অবতীর্ণ]

♥সুরা ফাতিহার শিক্ষা:-
আসলে এ সূরাটি হচ্ছে একটি দোয়া ।
১. আমরা আল কোরআন পড়তে শুরু করলে আল্লাহ প্রথমে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার জন্য এ দোয়াটি শিখিয়ে দেন। গ্রন্থের শুরুতে এর স্থান দেয়ার অর্থই হচ্ছে এই যে, যদি আমরা যথার্থই এ গ্রন্থ থেকে লাভবান হতে চাই তাহলে নিখিল বিশ্ব-জাহানের মালিক আল্লাহর কাছে দোয়া এবং সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে ।

২. আমাদের মনে যে বস্তুটির আকাংখা ও চাহিদা থাকে স্বভাবত আমরা সেটিই চেয়ে ফেলি । আবার আমরা যখন অনুভব করি যে, যে সত্তার কাছে সাহায্য চাচ্ছি আমার আকাংখিত বস্তুটি তারই কাছে আছে ।

৩. কাজেই কুরআনের শুরুতে এই দোয়ার শিক্ষা দিয়ে যেন আমাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে, সত্য পথের সন্ধান লাভের জন্য এ গ্রন্থটি অধ্যায়ন করতে হবে ।

৪. সত্য অনুসন্ধানের দৃঢ় মন মানসিকতা নিয়ে এর পড়তে পড়তে ডুকতে হবে এবং নিখিল বিশ্ব-জাহানের মালিক ও প্রভু আল্লাহ হচ্ছেন জ্ঞানের একমাত্র উৎস! একথা জেনে নিয়ে একমাত্র তাঁর কাছেই পথ নির্দেশনার আর্জি পেশ করেই এ গ্রন্থটি পাঠের সূচনা করতে হবে ।

৫. এ বিষয়টি অনুধাবন করার পর একথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, কুরআন ও সূরা ফাতিহার মধ্যকার আসল সম্পর্ক কোন বই ও তার ভূমিকার সম্পর্কের পর্যায়ভুক্ত নয়। বরং এ মধ্যকার আসল সম্পর্কটি দোয়া ও দোয়ার জবাবের পর্যায়ভুক্ত ।

৬. সূরা ফাতিহা বান্দার পক্ষ থেকে একটি দরখাস্ত । আর কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে সেই দরখাস্তের জবাব ।

বান্দা দোয়া করে, হে মহান প্রভু! আমাকে পথ দেখাও । জবাবে মহান
প্রভু এই বলে সমগ্র কুরআন তার সামনে রেখে দেন ____ এই নাও সেই হিদায়াত ও পথের দিশা যে জন্য তুমি আমার কাছে আবেদন জানিয়েছ!

হে রাহমানুর রাহিম !আমাদেরকে কোরানের আলোকে সৎ কাজ ও সৎ চরিত্রের উপর অটল থাকার আর অসৎ কাজ ও অসৎ চরিত্র থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন ছুম্মা আমিন।

[লেখক-  এম এ রায়হান, সবেক ছাত্রনেতা, সেনবাগ, নোয়াখালী]

Post a Comment

Previous Post Next Post