স্মৃতির আঙ্গিনায় চির জাগরূক ইসলামী ছাত্রীসংস্থাঃ

দ্বীনি আন্দোলনের পথে আমার জিন্দেগীর প্রথম অধ্যায়

৩১শে ডিসেম্বর ২০১১, সকাল ১১ টা। ছাত্রীসংস্থায় দীর্ঘ এক যুগের নিরবিচ্ছিন্ন পথ চলার ইতি হল। সেই ১৯৯৯ সালে এইচ.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে কোচিং করতে যেয়ে রংপুর শহরে ছাত্রী অঙ্গনে দ্বীনি আন্দোলনের পথে যাত্রা শুরু। দ্বীনি আন্দোলনের কাফেলা থেকে একটি দিনও বিচ্ছিন্ন থাকবো না, এই সিদ্ধান্তে সেদিন বিকেলেই মহানগরীর মহিলা বিভাগের অফিসে গিয়ে জামায়াতে যোগদান করলাম। ২০১২ সালের ৮ই আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রোকন হিসেবে শপথ নিলাম। আজো বিশ্রামহীন বিরতিহীন পথ চলার চেষ্টা করছি দ্বীনি আন্দোলনের এ পথে। প্রভু! তুমি কবুল করো!

জীবনের চড়াই উৎরাই বড়ই বাস্তব। এ সব কিছুর মোকাবেলা করেই বেঁচে থাকতে হয়। আজ যখন নিদ্রার বাইরে অধিকাংশ সময় নিজের ঈমান-আমল নিয়ে তটস্থ থাকি, তখন খুব বেশি মনে পড়ে ছাত্রীসংস্থার কথা। এ সংস্থা যদি না থাকতো, এ সংগঠনের ছায়াতলে যদি না আসতাম, তাহলে দুনিয়াবী জিন্দেগীর কোন তিমিরে হারিয়ে যেতাম! ভাবতেও গা শিউরে ওঠে। আলহামদুলিল্লাহ! সবই আল্লাহর দেয়া রহমত।

আজ সর্বক্ষণ সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলতে খোদার কাছে সাহায্য চাইছি। প্রতিটি দিনের জীবনই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দেয়া বিশেষ রহমত। প্রতিদিনইতো কত মানুষ দুনিয়ার জিন্দেগী শেষ করে আল্লাহর দরবারে চলে যাচ্ছে। মৃত্যু নামক এই সবচেয়ে বড় সত্য বিষয়টি মাঝে মাঝে শয়তান বা নফস আমাদের ভুলিয়ে দেয়। আমাদের জয়ী হতে হবে এই নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে। দুনিয়ার প্রতিটি সময় যেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কল্যাণকর করে দেন, তাঁর সন্তুষ্টিপূর্ণ করে দেন।

ছাত্রীসংস্থায় এসে একটি কবিতা পড়েছিলাম-
উষর মরুর ধূসর বুকে
বিশাল যদি শহর গড়ো
একটি জীবন সফল করা
তাহার চেয়েও অনেক বড়।
পৃথিবীর অসংখ্য মানবের মাঝে একটি প্রান যখন প্রভুর দাসত্বের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে দেয়, কবুল করে নেয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সত্য, পৃথিবীতে তখন এর চেয়ে সুন্দর ঘটনা আর কি ঘটতে পারে! একটি একটি জীবনকে প্রস্ফুটিত করতে ছাত্রীসংস্থার এ প্রচেষ্টাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কবুল করে নিন।
আমীন।

(লেখক - রওশন আরা স্বপ্না)

সম্পাদনায়/এমএআর/দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/১৫জুলাই ২০১৪

Post a Comment

Previous Post Next Post