"সরল পথ" যার পাদদেশ দিয়ে প্রবাহিত জান্নাতের ঝর্ণাধারা

প্রতীক্ষা। প্রতীক্ষার পালা শেষ। অবশেষে ধরা দিলো সেই কাংখিত দিন। সেই বহু আকাংখিত সময়। ১৫ই জুলাই। হ্যাঁ। এটাই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার ৩৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। মনে পড়ে সেই দিনটির কথা। যেন স্মৃতির পাপড়ি মেলে উঁকি দেয়। যেদিন সাতজনের ক্ষুদ্র কাফেলাটি প্রথম তার পদযাত্রা শুরু করে। সেই থেকে তো চলা শুরু। আর বিশ্রাম নেই। বিশ্রাম!! এতো এক অবিশ্বাস্য শব্দ। চলছে বিভিন্ন গতিতে। কখনো কচ্ছপের গতিতে, কখনো খরগোশের, কখনো রেলের, কখনো দূরপাল্লার বিমানের। এই পথ কখনো মসৃণ ছিলো না। এ পথের চারিদিকে যেন কাঁটা বিছানো। একটু অসতর্ক হলেই যেন পায়ে কাঁটা বিঁধে যাবে। রক্তাক্ত পদচিহ্ন দেখা যাবে পথে। তা সত্ত্বেও থেমে থাকার তো কোন অবকাশ নেই। থেমে থাকা মানেই তো ধ্বংসের হাতছানি।

হয়তোবা এমন হবে, বাতাসে লাশের গন্ধ পাওয়া যাবে। ধ্বংস, মৃত্যু, রক্ত, অশ্রু একাকার হয়ে যাবে। ওমা!! এ কী কথা। এ পথে যাওয়া যাবে না। ভীরু কাপুরুষের দল। সাফল্য তো এ পথেই। শুধু কি পঁচা লাশের গন্ধই পেলে। জান্নাতের সুবাস পাও নি। আমরা তো সেই সুবাস নিয়ে তারই দিকে ছুটে চলছি। এসো, এ পথেই তো তোমার ঠিকানা। যতদিন নিজের ঠিকানা খুঁজে না পাবে ততদিন তো অনিশ্চয়তার মধ্যে কালাতিপাত করবে। এসো, হাতে হাত মিলাই। একত্রিত হই সেই জান্নাতে যার পাদদেশ দিয়ে প্রবাহিত ঝর্ণাধারা।

আমরা কাজ করে যাচ্ছি এদেশের ছাত্রীসমাজের মাঝে। আমরা চাই এদেশের ছাত্রী সমাজকে ইসলামের সুশীতল ছায়ার তলে নিতে। চাই রৌদ্রদাহ যেন পুড়িয়ে দিতে না পারে কোন কিশোরীকে। তাই এদেশের ছাত্রীসমাজের কাছে আবেদন, ধূসর সাহারায় তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় উদ্ভ্রান্ত হয়ে আর ঘুরে বেড়িয়ো না। এসো এই মরুদ্যানে, যার সুশীতল ছায়ায় তুমি পাবে স্বস্তি, আখিরাতের মুক্তি।

লেখক -জোহরা খাতুন শীমু
S.S.M.C

সম্পাদনায়/এমএআর/দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/১৫ জুলাই ২০১৪

Post a Comment

Previous Post Next Post