দিনাজপুর অফিস : জাগপার কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় সীমান্তে আমার দেশের মানুষকে পাখির মতো হত্যা করা হচ্ছে। সীমান্ত আজ অরক্ষিত। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা মুখে স্বাধীনতার কথা বলে ফেনা তুললেও স্বাধীনতা সংগ্রামে হাসিনার কোনই অবদান নেই।
তিনি বলেন, ঈদের পর দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার এবং দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সংগ্রাম শুরু হবে। সে সংগ্রামে দল-মত, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে অংশ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে শফিউল আলম প্রধান বলেন, ফাঁসির রশি দেখিয়ে আসন্ন গণঅভ্যুত্থানকে আপনি রুখতে পারবেন না। কারণ এ অভ্যুত্থান গণমানুষের। আর গণমানুষ বিজয়ী হবেই, আপনি হবেন পরাজিত।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুর লোকভবন চত্বরে সদর উপজেলা জাগপা আয়োজিত ‘মাহে রমযান ও বদরের শিক্ষা’ শীর্ষক এক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দিনাজপুর সদর উপজেলা জাগপা আহবায়ক রেজাউল করিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা জাগপার সভাপতি আলহাজ্ব রকিব উদ্দীন চৌধুরী মুন্না, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খোকন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান উজ্জল, জামায়াত নেতা অধ্যাপক ফসিহুল করিম খান তাজ। বক্তব্য রাখেন, জেলা জাগপার সহ-সভাপতি মাহবুব আলম ননী, এ্যাভোকেট নুরুন্নবী, যুব জাগপার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শেখ ফরিদ উদ্দীন, জেলা যুব জাগপার সভাপতি সৈয়দ ইমরুল কায়েস রূপম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান চৌধুরী বুলেট প্রমুখ। মাহফিলে দেশ-জাতির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ন্যাপসহ জোটভুক্ত বিভিন্ন সংগঠন ও অঙ্গ-সহযোগী সংঠনের নেতা কর্মীরা যোগ দেন।
উৎস: দৈনিক সংগ্রাম