পুলিশের উপর ছাত্রলীগের হামলা

কক্সবাজার শহরে মটরসাইকেলসহ এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের ঘটনায় ছাত্রলীগ ক্যাডারদের তাণ্ডবে কক্সবাজার শহর অচল হয়ে পড়েছে। সশস্ত্র ছাত্রলীগ ক্যাডারেরা টমটম, সিএনজি ও মোটর সাইকেলসহ অসংখ্য যানবাহন ভাঙচুর করেছে। আটক নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে মিছিল নিয়ে থানা অভিমুখে অগ্রসর হয়ে থানা পুলিশের সাইনবোর্ড, এটিএম বুথসহ দোকানপাট ভাঙচুর করে। এসময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এতে ছয়জন আহত হন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পুলিশের সাথে দফায় দফায় ছাত্রলীগের সংর্ঘষ চলে।

এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পুরো শহর যান শূন্য হয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, বিকেল শহরের বাজারঘাটা এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের কাগজপত্র চেক করছিল মডেল থানা পুলিশের একটি দল। এসময় ছাত্রলীগের এক নেতা বেপরোয়া গতিতে মটরসাইকেল চালিয়ে পুলিশি বাধা অতিক্রম করতে চাইলে তাকে থামান হয়। এসময় সে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিলে পুলিশ মটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখাতে বলে। ছাত্রলীগ নেতা তা দেখাতে ব্যর্থ হলে মটরসাইকেলসহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলী আহমদ ওই নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তার সাথে পুলিশের তার বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ছাত্রলীগ ক্যাডারেরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানার দিকে অগ্রসহ হয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এসময় পুলিশের ফাঁকা গুলিতে ছয়জন আহত হন।

জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, আজ শুক্রবার বিকালে থানার পুলিশ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলী আহমদকে থানার ভেতরে মারধর ও লাঞ্চিত করে থানা থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীরা বিুব্ধ হয়ে উঠে।

কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশের ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, ট্রাফিক পুলিশের অবৈধ মটরসাইকেল আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মীরা এক পুলিশ কর্মকর্তার উপর আক্রমণ করে। পরে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এর জের ধরে সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা তাণ্ডব চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে।

উৎস: Dhakar News

Post a Comment

Previous Post Next Post