বঙ্গবন্ধুকে ফেরাউন, প্রধানমন্ত্রীকে নাস্তিক ও রাষ্ট্রপতিকে বটতলার উকিল বলায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি খুলনা শাখার আইন বিভাগের শিক্ষক ও ক্যাম্পাস ইনচার্জের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার সকালে দায়ের করা এই মামলায় বেলা ২টার দিকে শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান তদন্তের ওই আদেশ দেন।
মামলায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন- নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির খুলনা শাখার আইন বিভাগের শিক্ষক রাজিব হাসনাত শাকিল ও ক্যাম্পাস ইনচার্জ ড. আনোয়ারুল করিম।
এদিন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি মাসের শেষে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির খুলনা ক্যাম্পাসের আইন বিভাগে পাঠদানের সময় ওই বিভাগেরই শিক্ষক রাজিব হাসনাত শাকিল বঙ্গবন্ধুকে ফেরাউন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নাস্তিক ও রাষ্ট্রপতিকে বটতলার উকিল হিসেবে উল্লেখ করেন।
ওইসময় ওই বিভাগের ছাত্র মো. নঈম শিক্ষকের মানহানীকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। পরে ওই ছাত্র বিষয়টি ক্যাম্পাস ইনচার্জ ড. আনোয়ারুল করিমকে জানান। কিন্তু ক্যাম্পাস ইনচার্জ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
পরবর্তীতে প্রতিবাদী ওই ছাত্র নঈম বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে ড. আনোয়ারুল করিম তার ছাত্রত্ব বাতিল করেন। এরপর ওই ছাত্রকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী দিয়ে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
গত ২৯ জুন ছাত্রত্ব রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলে ৩০ জুন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় ‘শিক্ষকের বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় ছাত্রত্ব বাতিল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বাদী তার মামলায় নিজের পরিচয়ে উল্লেখ করেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর নামে করা ফাউন্ডেশনের সভাপতি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ওই ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও বহুবারের সংসদ সদস্য বলেও উল্লেখিত।
এম/এ/আর/সেনবাগ প্রতিনিধি/বুধবার, ০২ জুলাই ২০১৪