সেনবাগে ট্রাইব্যুনাল বিচারপতির বাড়িতে হামলার সময় ধরা পড়েছে ৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

সেনবাগে ট্রাইব্যুনাল বিচারপতির বাড়িতে হামলার সময় তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গ্রেফতার

নোয়াখালীর সেনবাগে আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের কাবিলপুর গ্রামের বাড়িতে আবারও হামলার প্রস্তুতির সময় ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে ১৪/১২/২০১৩ শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাহা ১৬/১২/২০১৩ তারিখ দৈনিক আমারদেশ পত্রিকায় প্রকাশ করেছে।গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মো. জাহিদ হাসান বাবু (২০), রাসেল বাবু (১৮) ও ওমর ফারুক (১৮)।

পুলিশ জানায়, রাত ১২টার দিকে উপজেলার
কাবিলপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা ও মহিদিপুর গ্রামের আবুল মোতালেবের ছেলে জাহিদ হাসান বাবু, একই গ্রামের দুলাল হোসেন মনিরের ছেলে রাসেল ওরফে বাবু ও পার্শ্ববর্তী আজিজপুর গ্রামের শরিয়ত উল্লার ছেলে মো. ফারুক সহ আরও ১৫-১৬ জন মিলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের কাবিলপুর গ্রামের বাড়ির ৫শ’ গজ দূরে হামলার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য অবস্থান করছিল। এসময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসী দৌড়ে গিয়ে তিন জনকে হাতেনাতে আটক করে।

খবর পেয়ে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) সাইকুল আহম্মেদ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একদল
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। সাইকুল আহম্মেদ ভূইয়া জানান, তাদেরকে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের গ্রামের বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণ এবং নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ দুুপুরে নেয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে একটার দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বাড়ির সামনের ফটক লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। ওই ঘটনায় কোনো প্রমাণ না থাকলেও মিডিয়া ও সরকারের পক্ষ থেকে জামায়াতকে দায়ী করা হয়।

যার ধারাবাহিকতায় গত ২৩ জুন ২০১৪নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় জামায়াত নেতা দীন মুহাম্মাদ সহ গ্রেপ্তার করা হয় মোট ৩ জনকে। জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রাহমান নিজামীর রায়কে কেন্দ্র করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সেনবাগের জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক, সূত্রে জানা গেছে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর কোর্টে নেয়ার পরিবর্তে থানায় রেখে চোখ বেঁধে মাথায়, কোমরে, শারিরীক নির্যাতন করা হয়। এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের কাবিলপুর গ্রামের বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণ এবং নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা এবং সেনবাগ থানার জামায়াতের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে জামায়াত নেতা দ্বীন মোহাম্মদসহ সকল নেতা কর্মীর মুক্তি দাবী করছে।

এম/এ/আর/সেনবাগ প্রতিনিধি/১ জুলাই ১৪

Post a Comment

Previous Post Next Post