বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে আমাদের প্রত্যেককে নৈতিকতার ক্ষেত্রে আপোষহীন হতে হবে। সাহাবা আজমাইনের মত প্রতিটি কাজে ও কর্মে নিজেদেরকে নৈতিকতার সর্বোচ্চ মানদন্ডে উন্নীত করতে হবে।
তিনি আজ ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সাথী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর এক মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরী সভাপতি রাশেদুল হাসান রানার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাইনউদ্দিন মৃধার পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.সেলিম উদ্দিন, ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ড.রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক জাকির হোসেন সেলিম প্রমুখ।
শিবির সভাপতি বলেন, বর্তমান সমাজের সর্বত্র অনৈতিকতার ছড়াছড়ি। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিতরা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত। ফলে সমাজে নীতির চর্চা আজ নেই বললেই চলে। গোটা জাতি আজ নৈতিক পদস্খলনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই অবস্থায়ও ছাত্রশিবিরের সাথীদেরকে উন্নত নৈতিক চরিত্রের চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। সমাজের এই অবস্থাকে পরিবর্তন করে সুন্দর ও সোনালী সমাজ প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রাখবে ছাত্রশিবিরের সাথীরা।
তিনি বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন আমাদের বড় দায়িত্ব। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার অপশাসনে ব্যস্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা সকলের কর্তব্য। কাজেই নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে ছাত্রশিবির সেই দায়িত্ব পালন করছে। চলমান আন্দোলনে আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, গুম হয়েছেন কিন্তু আমরা আমাদের জায়গা থেকে এক বিন্দু পরিমাণও সরে আসিনি। ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে আমাদের প্রতিরোধ আন্দোলন অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি সমবেত সাথীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের মানুষ দিনেদিনে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রের চাহিদা অনুভব করতে শুরু করেছে। আমাদেরকে মানুষের সামনে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে যে, ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র ছাড়া সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়। শিবিরের সাথী ভাইদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ও ত্যাগ-কুরবানীর বিনিময়ে বাংলাদেশ বর্তমানের সঙ্কট অবস্থা পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ ।
(মো. জামাল উদ্দিন)
সহকারী প্রচার সম্পাদক
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
এম/এ/আর/সেনবাগ