মুমিনদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, এবং রাসুল (সাঃ) এর পূর্ণ অনুসরণই দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতাঃ আল্লামা হযরত মাওলানা মোল্লা নাজিম উদ্দিন।

নোয়াখালীর সেনবাগের ৪নং কাদরা ইউনিয়নের চারিদ্রোন গ্রামে যুব সমাজের উদ্যোগে গত ২৪-০২-২০১৪ইং তারিখে তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান মেহমান বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ কুমিল্লা মাসজিদুল কোবার সন্মানিত খতিব আল্লামা হযরত মাওলানা মোল্লা নাজিম উদ্দিন সাহেব কোরআনুল কারিম থেকে তাফসীর শুরু করেন।

কোরআন হাদীসের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, মুমিনদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, এবং রাসুল (সাঃ) এর পূর্ণ অনুসরণই দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা। আমরা যারা কোরআনের মাহফিল করি, আমাদের কোনো দলাদলি নাই, মত নাই, নেতার পুজা নাই, কোনো নেতার নামে স্লোগান নাই। তবে হ্যাঁ আছে! আমাদের একটা দল আছে, যে দলের নাম আল্লার দল, আমাদের একটা মত আছে, যে মতের নাম আল কোরআন, আমাদের একটা নেতা আছে, যে নেতার ছাইতে আকাশের নিচে জমিনের উপর আর কোনো নেতা হতে পারেনা যার আদর্শের সার্টিফিকেট সয়ং আল্লাহ তায়ালা দিয়েছন, তিনি হচ্ছেন জনাব মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)।

যারা আল্লাহু আকবারের স্লোগান দেয়, যারা কোরআনের স্লোগান দেয়, রাসুলের নামে স্লোগান দেয়, আমারা তাদের দলে আছি। যারা এসবের বিরুদ্ধে আমারা তাদের দলে নাই।

তিনি আবু জাহিলের কথা বলতে গিয়ে বলেন, আবু জাহিল কুরআন শুনতে ভালোবাসতেন কিন্তু মানতেন না। আজকে আমাদের দেশেও বড় বড় আবুল নামের জাহিলদের পয়দা হয়েছে যারা কুরআন পড়েন, কুরআন শুনেন, কিন্তু কুরআনের শাসন চান না, আইন মানেন না।

আবু জাহেল কুরআন শুনতে ভালোবাসতেন মানতেন না। আমি তখনকার আবু জাহিল আর এখনকার আবু জাহিলের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাই না। আপনারা পান কিনা ? এক আবুল পদ্মা সেতু খাইছে, আরেক আবুল বিড়ি বানাই পুরা দেশটা খাইছে, আরেক আবুল কোরআনের বিরুদ্ধে কথা বলে আবার মাহফিল শুনতে যায়, জুতার বাড়ি খেয়ে পুলিশ পাহারায় পালাই আসে। কোরআন হাদীস, ও ইসলামী আন্দোলন কারিদের বিরুধী হলে অবস্থা এ রকমই হয়।
আমরা কোরআন বিরুধী ইসলাম বিরুধী মাহফিল বিরুধী ইসলামী আন্দোলন বিরুধী হবো না।

তিনি নাস্তিকদের সসম্পর্কে বলেন, আমরা নাস্তিক মুক্ত বাংলাদেশ চাই, আমরা কোরআন সুন্নার আইন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়, কোনো সরকার উৎখাত করার জন্য নয়, কোনো গোষ্টির বিরুদ্ধে নয়, আমাদের আন্দোলন নাস্তিক মোরতাদদের বিরুদ্ধে। শাপলা চত্বরে ছোট শিশুরা কোরআনের কথা শুনতে যায়, তারা হয়ে যায় জঙ্গী, আর শাহাবাগে এই শিশুরা গেলে তাদের সঙ্গী হয়। এ হলো তাদের অবস্থা।

তিনি আরো বলেন, আজ কোরআনের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে, আলেম ওলামার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। আলেমদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নিয়ে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হচ্ছে। রাসুল (সাঃ) কে গালি দেওয়া হচ্ছে, মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আল্লামা সাঈদীর মত আলেমকে মিথ্যা অজুহাতে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে, ( সাঈদীর কথা বলার সাথে সাথে পুরা মাহফিলে সকলের চোখে পানিতে আর কান্নার আওয়াজে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যায়)। সাঈদীর মুক্তি চাই, সাঈদীর কিছু হলে জলবে আগুন ঘরে ঘরে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে মাহফিলস্থল।

অথচ আলেম নামের কলংক নাস্তিকদের দোষর বায়তুল মোকাররম মসজিদের বর্তমান খতিব, ও শোলাকিয়া ঈদ গায়ের ইমাম ফরিদ উদ্দিন মাসুদ নাস্তিকদের দালালি করছে আজ তারা সকল ইসলাম বিরুধী কার্যকলাপ করছে সরকার তাদের বিচার না করে তাদেরকে মদদ দিচ্ছে, তাদেরকে গ্রেফতার না করে হক্কানী আলেমদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তিনি সরকারকে হুশিয়ারি করে বলতে চান, অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন, নবী রাসুলদের জামানায় এ রকম নির্যাতন করা হয়েছে, আজও হচ্ছে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা সকল জালিমকে উচিৎ শিক্ষা দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিয়েছন।

আপনারাও যদি ইসলাম বিরুধীদের পক্ষ ত্যাগ না করেন আল্লাহর আযাব আর গজবের জন্য অপেক্ষায় থাকুন। তিনি ফেরাউনের কথা সরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ফেরাউনের চাইতে তো শক্তিশালী হন নাই, আমার আল্লাহ ফেরাউনকে পানিতে চুবাইয়া বিদায় করেছন, নমরুদকে জুতা পিটা করে বিদায় করেছেন, আপনাদের অবস্থা এর ব্যতিক্রম হবেনা। কোরআনের পক্ষে থাকুন বিজয় সু নিশ্চিত।

তিনি বলেন আমরা কোনো আলেম বিরুধী নয়, কোনো হক্কানী পীর বিরুধী নয়, কিন্তু যে সকল আলেম যে সকল পীর নাস্তিকদের সহযোগী কবর পূজারী আমরা তাদের বিরুদ্ধে, আমাদের আন্দোলন তােদর বিরুদ্ধে।

তিনি মাহফিলের উপস্থিতি সকলকে নাস্তিক মুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে কোরআনের ছায়াতলে সমবেত হয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকার তাগিদ দেন।

পরিশেষে মুসলিম উম্মার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন।

প্রতিবেদক/এম/এ/আর/সেনবাগ

Post a Comment

Previous Post Next Post