‘আমাকে কেউ অপহরণ করেনি, আমি স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হয়েছি এবং স্বামীর সাথে সংসার করছি”।
বুধবার সন্ধ্যায় একটি জাতীয় দৈনিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এই কথাগুলো জানান নওমুসলিম আয়শা বেগম। তিনি বলেন,
আমি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলাম । বাবার নাম সুমল চন্দ্র রায়, মাথা মাধবী রায়, গ্রাম নলুয়াবাগী, থানা গলাচিপা জেলা পটুয়াখালী। দীর্ঘদিন যাবত ইসলাম ধর্মের আচার আচারণ ও নিয়মন কানুন দেখে ও বই পুস্তক পড়ে এই ধর্ম ভালো লাগতে শুরু করে। যার কারনে গত বছরের ৪ আগষ্ট নোটারীর মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি।
তিনি আরো বলেন, লেখা-পড়া করার সময় একই এলাকার ইমরান মৃধার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা আগষ্টের চার তারিখেই মুসলিম শরীয়া মতে তিন লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্তু বাবা সুমল চন্দ্র রায় এই বিয়ে মানতে পারেননি। যার কারনে তিনি ওইদিনই গলাচিপা থানায় একটি অপহরন মামলা করেছেন। তার পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে অপহরন করা হয়েছে বলে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আয়শা বলেন, আমি আমার স্বামীর কাছে থাকতে চাই। তিনি বলেন, আমি অপহৃত হয়নি। আমাকে কেউ অপহরন করেনি। আমি স্বেচ্ছায় বিয়ে করে আমার স্বামীর সংসারে রয়েছি। স্বামীর কাছেই থাকতে চাই। তিনি অপহরনের এই মিথ্যা মামলা তুলে নেয়ার আহবান জানান।