বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বিষয়ে রায় আজ

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বিষয়ে আজ রায় ঘোষণা করা হবে।

বুধবার বিকেলে বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার ও বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিধানের বৈধতা নিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালামের দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই রুল জারি করেন।

উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে বিতর্ক চলছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে, নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের মতামতের সত্যিকার প্রতিফলন হয়নি।

সংসদীয় আসনে একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা নিয়ে মতামত জানতে গত ১২ মার্চ সাতজনকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) নিয়োগ দেন হাইকোর্ট।

অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন, প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, সিনিয়র এডভোকেট এম আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, মওদুদ আহমদ, রোকন উদ্দিন মাহমুদ এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নিয়ে অ্যামিকাস কিউরিদের দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

এদিকে, এ সংক্রান্ত রিট আবেদনে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা অনুসারে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়। এক্ষেত্রে ‘না’ ভোটের কোনো বিধান রাখা হয়নি। অথচ সংবিধান স্পষ্ট বলছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সংসদ গঠিত হবে। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ ছাড়া কাউকে নির্বাচিত ঘোষণা করা সংবিধানের পরিপন্থী। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা সংবিধানের ৭, ১১, ২৭, ৩১, ৬৫ (২), ১২১ ও ১২২ (২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে।’

সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিনশত সদস্য লইয়া এবং এই অনুচ্ছেদের (৩) দফার কার্যকরতাকালে উক্ত দফায় বর্ণিত সদস্যদিগকে লইয়া সংসদ গঠিত হইবে; সদস্যগণ সংসদ-সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন।’

১২২(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকার-ভিত্তিতে সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’

রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।

উৎসঃ শীর্ষ নিউজ

Post a Comment

Previous Post Next Post