রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাড়ি থেকে গতকাল ২৮ জন পর্দানশীন ধর্মভীরু মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ এবং গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ এক বিবৃতিতে বলেন, পুরুষ বা মহিলা যেকোনো নাগরিকের সভা-সমাবেশ করার ও কথা বলার অধিকার আছে, যা সংবিধানে স্বীকৃত। কিন্তু জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচিত বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার মানুষের এ অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন মহিলা কর্মী গত ২ ফেব্রুয়ারি একটি বাড়িতে বসে পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আলোচনা করছিলেন। তাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একটি বৈধ রাজনৈতিক দল। এ দলের কর্মীরা কোথাও বসতে পারবে না, তা হতে পারে না। একটি রাজনৈতিক দলের ঘরোয়া বৈঠককেও রাষ্ট্রদ্রোহীতা হিসেবে প্রচার করার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়, এ সরকারের কোনো গণভিত্তি নেই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকারের কোনো জবাবদিহীতাও নেই।
সরকার জামায়াতে ইসলামীর উপর চরম জুলুম ও নির্যাতন চালাচ্ছে। অঘোষিতভাবে এ কর্তৃত্ববাদী সরকার জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসসহ সারা দেশের অফিসগুলো বন্ধ করে রেখেছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে সরকার গ্রেফতার করে জেলখানায় পাঠিয়েছে।
সরকারি দলের অফিস খোলা থাকবে, মিটিং, মিছিল ও সমাবেশ করতে পারবে, অথচ বিরোধী দল বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ করা তো দূরে থাক ঘরের মধ্যে বসে কুরআন-হাদীস নিয়ে আলোচনাও করতে দেয়া হবে না, এটা চলতে পারে না।
সাময়িকভাবে সরকার এতে আত্মতৃপ্তি লাভ করলেও এর জন্য সকলকেই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
তিনি সরকারের অত্যাচার-জুলুমের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত মহিলাদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তি।