সেনবাগে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ যুবলীগের বিরুদ্ধে ||

নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের গাজীরহাট বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বাবুপুরশ্রীপুর টট্ররিয়া গ্রামের মৌলবী বাড়ির সৈয়দ আহম্মদের ছেলে আবু সুফিয়ান রুবেল (২৪) কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের বিরুদ্ধে।

গত ১০ মার্চ ২০১৬ নিহত রুবেলের সাথে তার নিজ গ্রামে বাড়ীর দরজায় ডমুরুয়া গ্রামের মরহুম আবদুল মান্নান মাষ্টারের ছোট ছেলে যুবলীগ কর্মী মিলনের সালা এক-ই গ্রামের  সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে মিলনের স্ত্রী ও সালা বিষয়টি মিলনকে অবহিত করে। মিলন ঘটনাটি গাজীরহাটের যুবলীগ নেতা কচি কে অবহিত করে। কচি তাৎক্ষনিক গাজীরহাট বাজারে রুবেলকে ঘটনা জানার জন্য খোঁজ করে। কচি রুবেলকে দোকানে না পেয়ে মিলন ও হরিণকাটা গ্রামের পলাশকে দায়িত্ব দেয় রুবেল কে খুঁজে বের করার জন্য। মিলন ও পলাশ পুরোদিন তালাস করে রাতে নিশ্চিত হয়েছে রুবেল তার ব্যবসায়ীক কর্ম লাইটিংয়ের কাজ নিয়ে একই ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের এক বিয়ে বাড়ীতে কাজ করছে। ঠিক তখনি যুবলীগ নেতা কচির নেতৃত্বে রাতে মিলন, পলাশসহ আরো ৩/৪ জন নলুয়া গ্রামের বিয়ে বাড়ী থেকে ডেকে এনে অতর্কিত ভাবে হাতের কালো টচ লাইট ও লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে রুবেল কচি ও মিলনের পা ধরে বলতে থাকে ভাই আমাকে মেরোনা আমার দুইটি অবুঝ শিশু আছে আমাকে বাঁচতে দাও। এরপরও তাদের পাষান হৃদয়ে মায়া হলোনা রুবেলের প্রতি।

পরে স্থানীয়রা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় রুবেলকে উদ্ধার করে সেনবাগ হাসপাতালে প্রেরণ করে। অবস্থার উন্নতি না হলে ডাক্তার তাকে উন্নত চিৎকসার জন্য মাইজদীতে প্রেরণ করে । মাথায় প্রচন্ড আঘাতে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় চিৎকসা নেওয়ার পরামর্শ দেয় মাইজদীর ডাক্তারা।

সর্বশেষ ১৫ ই জুন ২০১৬ তারিখে চিকিৎসাদিন অবস্থায়  মৃতু বরণ করে রুবেল চলে যায় না ফেরার দেশে। আর হত্যার ষড়যন্ত্রকারীরা ঘুরে বেড়ায় প্রকাশ্যে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রুবেলের পিতা জীবিত নেই মা জীবিত। রুবেলেরা ২ ভাই ৪ বোন, রুবেল সবার ছোট। রুবেলের স্ত্রী ও ২ সন্তান আছে। পরিবারের একমাত্র বরণ পোষন ও আয়ের প্রাণ কর্তা ছিলো রুবেল। রুবেল গাজীরহাট বাজারে ইলেকট্রিক দোকান করতো এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাজসজ্জা ও লাইটিংয়ের কাজ করতো।

রুবেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা তার পরিবার, সমাজ, এলাকাবাসী, গাজীরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা। তারা সকলে এই হত্যার ষড়যন্ত্রকারী যুবলীগ নেতা কচি, মিলন, পলাশ সহ হত্যার সাথে জড়িত সকলের সঠিক বিচারের দাবী করছে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Post a Comment

Previous Post Next Post