আগামী শুক্রবার প্রতিটি মসজিদে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামের পক্ষে খোৎবা দিন ||

নিউইর্য়ক প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ভূখন্ডটি ধর্মপরায়ণ মুসলমানদের দেশ হিসেবে খ্যাত। দেশের তিন লক্ষাধিক মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতীবগণ  প্রতি শুক্রবারে দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জনগণের সামনে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পান।প্রায় সাত কোটি মানুষ সারাদেশে একই দিনে একই সময়ে জুমআর নামাজের জন্য সমবেত হন এবং স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ইমাম ও খতীব দের খুতবা (ভাষণ) শোনেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আগামী শুক্রবার ২৫ শে মার্চ   (জুমআর) দিনে সারা দেশের প্রতিটি মসজিদে যদি একই খুতবা(সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বহাল ও তাঁর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ) প্রদান করা হয় তাহলে আমরা মনে করি বিরাট একটি নিরব বিপ্লব হবে।তাতে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের কর্ণকহুরে জনতার সেই আওয়াজ সহজে পৌঁছে যাবে,সাথে সর্বদলীয় (নিজ নিজ অবস্থান থেকে) প্রতিবাদ চলবে।এরই  সাথে রাব্বে কারীমের দরবারে সমবেত ভাবে দো’য়ার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে সকলের আর্তনাদ। উভয়ক্ষেত্রে গ্রহণীয় হলে কাজ অনেক দূর এগিয়ে যাবে,ইসলামের বিজয় ঘটবে। আর ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হবে। ইউনাইটেড উলামা কাউন্সিল অফ ইউএসএ এর প্রেসিডেন্ট মুফতি লুৎফুর রহমান ক্বাসিমী ও সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রশীদ আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি ,দেশের ইমাম সমাজ জাতীয় যে কোন সংকট মোকাবেলায় বিরাট ইতিবাচক ভুমিকা পালন করেছেন।কিন্তু বর্তমান  সবচেয়ে  সংকটাপন্ন সময়ে দেশের ইমাম ও খতীব গণের নিরবতায় সাধারণ মুসল্লীদের হতাশ করে ফেলেছে।

তাই সবিনয় অনুরোধ করছি শ্রদ্ধয় ইমাম ও খতীব দের, অনুগ্রহ করে আপনারা উদ্দ্যোগী হোন,আপনাদের আক্ষরিক অর্থের(নেতার )প্রতিফলন ঘটান,দেশ ও জাতিকে এই করুণ সংকট থেকে  উদ্ধার করুন এবং সংবিধানে  রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম নিয়ে যে ষড়যন্ত্রের জাল ফেলা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আপনাদের আন্দোলন চলমান প্রক্রিয়ায় পরিনত করুন,যাতে করে আর কখনও সেই ষড়যন্ত্রকারীরা মাথাছড়া দিয়ে উঠতে না পারে।

আর সবাই একই সাথে আওয়াজ তোলুন,আর কিছু থাক না থাক,এদেশে ইসলাম ধর্ম থাকবেই।
মনে রাখবেন,যারা রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাতিলের অপচেষ্টা দেখেও চুপ করে আছে,তারা মূলত এটাকে সমর্থনই দিচ্ছে, কারণ নিরবতাই সম্মতির লক্ষণ !!ওদেরকে অবশ্যই কাল কিয়ামতের ময়দানে জবাবদিহি করতে হবে।

মহান আল্লাহ তা’য়ালা যেন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার এবং শরীক হওয়ার তাওফিক দান করেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post