নির্বাচনের নামে সরকার জাতির সাথে আবারো তামাশা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, গত তিন সিটি নির্বাচনে সীমাহীন ভোট জালিয়াতির পর জাতি আশা করেছিল পৌর নির্বাচন হয়তোবা নিরপেক্ষ করে সরকার প্রমাণ করবে যে, তারা নিরপেক্ষ, কিন্তু সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনে জাতি আবারো প্রত্যক্ষ করলো এক আজব নির্বাচনের। এই রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য আমরা বুক ভরা আশা নিয়ে পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। এবারের নির্বাচন নিয়ে জাতি আশা করেছিল সরকার একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়ে জাতিকে অচলাবস্থা থেকে বের করে আনবে। কিন্তু যা ঘটলো তাতে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়বে ছাড়া কমবে না।
চরমোনাই পীর বলেন, জাতি অবাক বিস্ময়ে দেখেছে যে, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভোট ডাকাতি, জালিয়াতী, কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেছে এবং ইসলামী আন্দোলনের শত শত এজেন্টসহ বিরোধী দলের এজেন্টদের প্রহার করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে নির্বাচনের মাজা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে এবং মীরের সরাইয়ে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মির্জা আরিফ মঈনুদ্দিন নিজেই ভোট দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের মত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সরকার ধ্বংস করে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আজ্ঞাবহ ও দলীয় কমিশনে পরিণত করেছে। নির্বাচনে জনগণের আগ্রহ ও ইচ্ছাকে ধুলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে নির্বাচন দিয়ে আর ভোটারদের কোন আগ্রহ থাকবে না। এ ধরণের প্রহসনমূলক নির্বাচনের ফলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও ভোটের প্রতি অনীহা প্রকাশ করবে ফলে দেশ ক্রমেই ভয়াবহ সহিংসতার দিকে ধাবিত হবে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি, এতে করে জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, নির্বাচনের নামে সরকার জাতির সাথে তামাশা করেছে। এতে করে আবারো প্রমাণিত হলো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। কাজেই সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পুনরায় সংযোজন করতে হবে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ ও পুতুল হিসেবে পরিচয় দেওয়ায় অবিলম্বে সিইসির পদত্যাগ দাবি করছি।