গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-২ থেকে জামিনে ছাড়া পান তিনি।
এ সময় কারা ফটকে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম, বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। পরে গাড়িতে করে দ্রুত কারাগার এলাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল।
কারাগার সূত্র জানায়, মির্জা ফখরুলের জামিন সংক্রান্ত কাগজ সোমবার কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই বাছাই শেষে আর কোনো মামলায় তাঁর আটকাদেশ না থাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। ২৪ নভেম্বর বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মির্জা ফখরুলকে তিন মাসের জামিন দেন। ওই জামিন স্থগিতের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন নিয়ে গেলে বিচারক বিষয়টি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগ তাঁর জামিন বহাল রাখেন ।
ফখরুলের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ৮৪টি মামলা রয়েছে যার মধ্যে ২৫টি মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
মির্জা ফখরুল টানা ছয় মাসের বেশি সময় কারাভোগের পর গত ১৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান। মুক্তির পর কয়েকদিন তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর চিকিৎসার জন্য ২৭ জুলাই রাতে সিঙ্গাপুর যান তিনি। সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় পৌনে দুই মাস উন্নত চিকিৎসা শেষে ২১ সেপ্টেম্বর দেশে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
এরপর নাশকতার তিনটি মামলায় গত ২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মির্জা ফখরুলকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।পরদিন তিনি ঢাকার মহানগর হাকিম মারুফ হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তখন থেকে কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল।