কথা কথায় মামলা অযথা হয়রানি, স্থানীয় লোকজন জন অতিষ্ঠ ||

সেনবাগ: এক মামলা বাজের অত্যাচারে আসহায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রাম এলাকাবাসী। কথা কথায় মামলা অযথা হয়রানী ঝর্জরিত স্থানিয় লোকজন জন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। এলাকাবাসী অত্যাচার ও হয়রানী থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অত্যাচারি মামলাবাজ আবদুছ ছোবান উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের ফকিরবাড়ির তনু মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় একাধিক লোকজন জানান, লেমুয়া গ্রামের আবদুছ ছোবহান অত্যান্ত দুদান্ত ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক। এলাকার লোকজন তার বিরুদ্ধে সানান্য কথা বললে সে ওই লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাকে হয়রানী করে। এলাকার সহজ সরল লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানী করা তার যেন শুধু নেশা ও পেশা। যার কারনে তার নিজ বাড়ির লোকজনের সাথে সু-সর্ম্পক ও নাই। জায়গা-জমি সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে ও সে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। স্থানীয় গ্রাম্য সালিশ দরবার সে কিছুই মানে না। সে নিজে ঘটনা ঘটিয়ে এলাকার লোকজনদেরকে ওই ঘটনার আসামী করবে।

স্থানীয় লেমুয়া সুলতানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো. আবদুল্লা ওরপে শাহজাহানকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। সে শিক্ষক বর্তমানে  জীবন ও জিবিকার তাগিদে সেনবাগ পৌর শহরের জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে চাকুরী নেয়। এখানেও ওই মামলাবাজ তাকে নানা হয় রানি ও সেনবাগ পৌর শহরে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এবং তাকে জামে মসজিদ থেকেও তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ফন্দি করছে বলে শাহজাহান  জানান।

অপরদিকে, আব্দুস সোবানের বোন রাবিয়া বেগমের শ্বামীর বাড়ী পার্শ্ববতী কলাবাড়িয়া গ্রামের প্রবাসী শ্বামী আবদুল হকের ঘরে সাজানো ঘটনায় ডাকাত ডুকে তার বোনকে মারধর করেছে বলে থানায় খবর দেয়। পরে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে দেখে ডাকাতির ঘটনাটি মিথ্যা প্রমানিত হয়।

সরেজমিনে ওই এলাকায় (লেমুয়া) গেলে লেমুয়া গ্রামের প্রবীন বৃদ্ব মো. মজিবুল হক, স্থানীয় লেমুয়া জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন আলী আশ্বাদ, মো. ছিদ্দিক উল্লা সহ আরও অনেকে সাংবাদিকদেরকে জানান, আবদুছ ছোবানের অত্যাচারে আমরা এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ, সেই অত্যান্ত দুষ্ট প্রকৃতির লোক। এলাকার সালিশ দরবার সমাজ কিছুই মানে না। এক জায়গায় থাকলে কিছু না কিছু ঘটে। এলাকায় সামান্য কিছু ঘটনা ঘটলে কোনো  কিছুর তোয়াক্কা না করে থানায় গিয়ে মামলা করে দেয়। পরে থানা থেকে পুলিশ এসে দেখে ঘটনা একেবারে মিথ্যা। বর্তমানে আমরা এলাকাবাসী এই মামলাবাজ থেকে মুক্তি পেতে চাই।

লেমুয়া বাজারের সার ও মুদি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর সরকার যখন সারের ডিলার নিয়োগ দেওয়ার সময় তখন আমি আবেদন করি কিন্তু আবদুছ ছোবহান আমাকে ডিলারশিপ নিতে দেয়নি। স্থানীয় মেম্বার আবদুল খালেকের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, আবদুছ ছোবহান অত্যান্ত খারাপ লোক,এলাকায় কোনো সালিশ দরবার কিছুই মানে না।

এ বিষয়ে আবদুছ ছোবানের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, উক্ত ঘটনাগুলো সত্য নয়। এলাকার কিছু কুচক্র মহল আমাকে হেয়পতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।

www.facebook.com/voiceofsenbag

Post a Comment

Previous Post Next Post