লন্ডনে খালেদা, তারেক ও রওশন এরশাদের জাতীয় ঐক্যের ডাক : রাজনীতিতে নতুন মাত্রা ||

লন্ডনে একই দিন পৃথক দুটি সমাবেশে বাংলাদেশের তিন শীর্ষ রাজনীতিবিদ জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছে।

গত ১লা নভেম্বর রোববার লন্ডনের রিভারব্যাংক পার্ক প্লাজা হোটেলের অডিটরিয়ামে আয়োজিত সুধী সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশ ভালো নেই, জনগন ভালো নেই। অপরদিকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক রহমান বলেছেন, দেশ এবং জনগন এখন ভয়াবহ বিপদ। তাই দেশ বাঁচাতে জনগন বাচাতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। তারা বলেছেন, জাতীয় ঐক্য এখন সময়ের দাবী। দেশ রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, গণতন্ত্রের জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন খালেদা জিয়া।

একই ভাবে একই দিন পূর্ব লন্ডনের ওয়াটার লিলি হলে, দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। তিনি আগামী সংসদ অধিবেশনে এব্যাপারে কথা বলবেন বলেও জানান। রওশন এরশাদ বলেন, আমরা যে লক্ষ্য উদ্দেশ্যে নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। সেটি ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম। কিন্তু সেটি অর্জন হয়েছে কিনা সেটি দেখতে হবে। গ্রামেগঞ্জে এখনো অনেক মানুষ দারিদ্রতার নিচে বসবাস করছে। অনেক মানুষ কষ্ঠে আছে। আমার এখনো অর্থনৈতি মুক্তি এনে দিতে পারিনি। তিনি জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

এদিকে একই দিন লন্ডনে তিন শীর্ষ নেতার জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয়াকে জাতীয় রাজনীতিতে সু-বাতাস হিসেবে দেখছেন অনেকে। বর্তমানে প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসানে এটিকে শুভ উদ্যোগে হিসেবেই মনে করছেন সচেতন মহল।

বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি জাতীয় ঐক্যের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। এসময় তিনি বলেন, বিএনপিকে ধ্বংসে আওয়ামীলীগ যে চক্রান্ত করছে এরশাদ সেরকম করেনি বলেও জানান। তিনি তার বক্তব্যে এরশাদ ও জাতীয় পার্টির প্রতি অনেকটা নরম সূরে কথা বলেন। যদিও রওশন এরশাদকে একজন লোভী মহিলা হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

অন্যদিকে রওশন এরশাদ বিগত নির্বাচনে গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায় তার দল নির্বাচনে গিয়েছিল জানিয়ে বলেন, সে নির্বাচনে বিএনপি গেলে হয়ত তারাও ক্ষমতায় যেতে পারত। তিনি দেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে এবং দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সকল দলের মধ্যে জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যের প্রয়োজনীয় প্রতি গুরুত্বদেন। তিনি আগামী সংসদ অধিবেশনে এব্যাপারে কথা বলবেন বলে জানান।
এদিকে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও রওশন এরশাদের মধ্যে কোন ধরনের রাজনৈতি কথা কিংবা সাক্ষাত হয়েছে কিনা এ নিয়েও কোন পক্ষের কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে দেশের চলমান রাজনৈতি অস্থিরতা দূর করতে দুই দলের এই নতুন উদ্যোগের সফলতা কামনা করেছেন অনেকে।

http://www.facebook.com/voiceofsenbag

Post a Comment

Previous Post Next Post