গত কয়েক দিন ধরে মেয়ের কানে ব্যাথা, নিজের ও রক্ত চাপ একটু বেড়ে গেছে। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন রাত পোহালে মেয়ে কে নিয়ে পরিচিত চিকিৎসক আবুল কাশেমের জনকল্যাণ ফার্মেসিতে যাবেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকালে মেয়েকে নিয়ে ওই ফার্মেসিতে গেলেন মেয়েতির মা। কিন্তু ওই চিকিৎসকের মাথায় চিকিৎসার বদলে ছিল অন্য কিছু। তাই চিকিৎসক মায়ের শরীরে প্রেসার নিয়ন্ত্রণের ইনজেকশনের বদলে অচেতন করার ইনজেকশন পুশ করেন। এতে মা অচেতন হয়ে পড়লে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে কে তার ফার্মেসিতেই ধর্ষণ করেন ওই চিকিৎসক।
সোমবার সকাল ১১ টার দিকে রোগীর সঙ্গে এমন ই কান্ড ঘটিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারের পল্লী চিকিৎসক আবুল কাশেম (৩৫)। তিনি চরফকিরা ইউনিয়নের চরকালী গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।
স্থানীয় ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে পাশ্ববর্তী কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের রফিক উল্ল্যার স্ত্রী তার মেয়ে লামছি প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১৩) নিয়ে চিকিৎসার জন্য কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারের ঐ জনকল্যাণ ফামের্সিতে আসেন। প্রায় সময় ও ই ছাত্রীর মা পল্লী চিকিৎসক কাশেমের কাছ থেকে প্রেসারের জন্য ইনজেকশন নিতেন।
এ সুযোগ নিয়ে সকালে তারা ফার্মেসিতে আসার পর কাশেম তার সহকারী চাঁন মিয়ার সহযোগিতায় দোকানের পেছনের কক্ষে নিয়ে ভিকটিমের মা কে প্রেসারের ইনজেকশনের বদলে অচেতনের একটি ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করে ফেলেন । পরে তিনি ভিকটিমকে আটক করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় ও ই স্কুলছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে কাশেমকে আটক করে।
পরে পল্লী চিকিৎসককে চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আটক করে রাখে স্থানীয় লোকজন । রাত সাড়ে ৯ টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ কাশেমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
http:/www.facebook.com/Voiceofsenbag