বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, সভাপতিলাখো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছে। তিনি ভ্যাট নির্ধারণকে জাতি বিনাশী তৎপরতা আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবী জানান।
তিনি আজ কেন্দ্র ঘোষিত সপ্তাহ ব্যাপি সাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রশিবির নরসিংদী জেলা শাখার উদ্যোগে সাক্ষরতা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, শিক্ষা আমাদের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। আর এই অধিকার সমুন্নত রাখার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা না করে উল্টো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি অযৌক্তিক ও অনৈতিক ভাবে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি এর উপর ৭.৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ করেছে সরকার। এর মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার পথে বাঁধার পাহাড় তৈরী করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধন্ত অমানবিক ও সংবিধান বিরোধী। আর এই দায়িত্বহীন সিদ্ধান্তকে আড়াল করতে একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়া হচ্ছে অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বর্বরতা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি এনবিআর এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা নয় ভ্যাট দিবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আবার সরকারের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরা বলছেন শিক্ষার্থীদেরকেই ভ্যাট দিতে হবে। যা এক হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি করেছে। ছাত্রসমাজ এই অবিবেচক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। তাই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তারা এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবী জানিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানেও সরকার নিরীহ ছাত্রদের উপর পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে বর্বর হামলা চালিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে আহত করেছে। আমরা মনেকরি সরকার পরিকল্পিত ভাবে জাতির মেরুদন্ডকে ভেঙ্গে দিতে চাইছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার নিরীহ শিক্ষার্থীদেরকেও প্রতিপক্ষের কাঁতারে দাঁড় করিয়েছে। যা কাম্য হতে পারেনা। সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের গুলির মুখে পড়তে হবে তা মেনে নেয়া যায়না। লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী রাজপথে নেমে এসে জানান দিয়েছে তারা এই অজ্ঞতাপূর্ণ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। এর পরও সরকার যদি লাখো শিক্ষার্থীর উপর এই বেআইনি ও সংবিধান বিরোধী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ছাত্রসমাজ কিছুতেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেনা।
শিবির সভাপতি অবিলম্বে আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করে ছাত্রদেরকে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেয়ার দাবী জানান।