শাহরাস্তিতে ৪ পুলিশকে মারধর করেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা ||

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ৪ পুলিশকে মারধর করেছে। এতে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ ৪ পুলিশ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ আলীগের ৪ নেতাকর্মী ও আয়েশা আক্তার নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার শাহরাস্তি গেট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহরাস্তি মডেল থানায় ৫ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চার আসামিকে নিরাপত্তার স্বার্থে শাহরাস্তি থানা পুলিশ হাজীগঞ্জ থানা হেফাজতে রাখে। শুক্রবার বিকালে পুলিশ পাঁচ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শাহরাস্তির পৌর আলীগের সদস্য মো. মাহ্বুব আলম চৌধুরী, শাহরাস্তি গেট সিএনজি অটোরিকশা সমিতির নেতা ও আলীগ কর্মী হুমায়ুন কবির হিরু, আজাদ হোসেন, খোকন মিয়া ও আয়েশা আক্তার। আলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহতরা হলেন, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন, কনস্টেবল রিপন মিয়া, ফয়সাল আহমেদ ও জাহাঙ্গীর হোসেন। আহত পুলিশ সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। থানায় করা মামলা ও শাহরাস্তি গেট বাজার এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাহবুব আলম বৃহস্পতিবার বিকালে শাহরাস্তি গেট বাজারে স্থানীয় বাসিন্দা উম্মে সালমার দখলে থাকা সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় মাহবুব ও তার দলবল ওই সম্পত্তি দখলে নেয়ার জন্য সম্পত্তির সামনে থাকা দুটি দোকান ঘর ভেঙে ফেলেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে থানার উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কামাল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে এসে আমি তাদের সম্পত্তি দখলে বাধা দেই। তারা আমার কথা না শুনে আমার ওপর এবং সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেন। তারা প্রকাশ্যে শত শত জনতার সামনে আমাদের মারধর করেন। আমাদের পরনের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ফেলেন। শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও ভুক্তভোগী উম্মে সালমা বাদী হয়ে থানায় দুটি পৃথক মামলা করেছেন। বর্তমানে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা আছে।

হাজীগঞ্জ থানা হেফাজতে থাকা মাহবুব আলম দাবি করে বলেন, আমার কেনা সম্পত্তির ওপর দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে পুলিশ এসে বাধা দেয়। তারা আপস মীমাংসার কথা বলে আমাদের শাহরাস্তি থানায় নিয়ে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমাদের সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। কিন্তু তারা নিজের পোশাক নিজেরা ছিঁড়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা সাজিয়েছে।

www.facebook.com/voiceofsenbag

Post a Comment

Previous Post Next Post