তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে ফ্রান্সে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বিএনপি ফ্রান্স। পরে ফ্রান্সের পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
খবরে প্রকাশ হাসানুল হক ইনু তিন দিনের সরকারী সফরে ১২ই সেপ্টেম্বর ফ্রান্সে আসেন।১৩ই সেপ্টেম্বর সকালে তিনি সাতু দু বার্সায়ে ফ্রান্সের রাজ প্রসাদ পরিদর্শনে যান। বিকেল ৬টায় তিনি হোটেলে ফিরে হোটেল লবিতে দুটি মতবিনিময় সভায় মিলিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে ফ্রান্স ফ্রান্স বি এন পির সাবেক সভাপতি মিয়া সিরাজুল ইসলাম,সভাপতি সৈয়দ সাইফুর রহমান, ফ্রান্স বি এন পির সহ সভাপতি ও মহিলা দলের সভাপতি মমতাজ আলো হোটেলের বাহিরে অবস্থান নেয়। ধীরে ধীরে জড়ো হতে থাকে ফ্রান্স বি এন পির নেতা কর্মীরা। সেই ফাকে মন্ত্রী ভাসাই প্যালেস পরিদর্শন করে হোটেলে ফিরেন।
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মন্ত্রী নিজ রুম থেকে লভিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করার জন্য নামিতেছিলেন এই খবর বাহিরে চলে আসলে বিএনপি নেতা কর্মীরা সরকার বিরুদী স্লোগান দিতে থাকে এবং হোটেল লভি লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা ছোড়তে থাকে। এসময় মন্ত্রীর সাথে দেখা করতে আগত সাংবাদিকদের ও হোটেলে ঢুকতে দেয়নি বিক্ষোভ কারিরা। সন্ধ্যা সাতটায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও জসদ নেতা কর্মী মন্ত্রীর সাথে দেখা করতে আসলে তারা ও ঢুকতে পারেনি হোটেলে।তবে জাসদ ও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের তখন কোন প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। পরে দূতাবাসের হেড অব কাউন্সিলার হযরত আলী খান আওয়ামীলীগ ও জাসদের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর জন্য নিয়ে আসা ফুল গ্রহণ করেন।
তখন ফ্রান্স বি এন পি নেতা কর্মীরা হোটেলের সামনে বিক্ষোভ করে এ সময় বক্তব্য রাখেন ফ্রান্স বিএন পির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মিয়া,সভাপতি সৈয়দ সাইফুর রহমান, সহ সভাপতি ও মহিলা দলের সভাপতি মমতাজ আলো, সহ সভাপতি সিরাজ রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের, ইলিয়াস মুক্তি পরিষদের আহবায়ক মফিজ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল খান, জুনেদ আহমদ প্রমুখ।
পরে ফ্রান্স পুলিশকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ফোন করলে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ কারিরা চলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান,যেহেতু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সাথে হাসানুল হক ইনু জড়িত বলে অনেকের ধারনা সে কারণে তারা তাঁর পক্ষ হয়ে প্রতিবাদ করতে যায়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অব কাউন্সিলার হযরত আলী খান ও রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলামকে কয়েক দফা ফোন করে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য গত ৭ই সেপ্টেম্বর মাহা জোট সরকারের আরেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু তাঁর বক্তব্যে এরশাদ সরকারের পঠনের সময় কোন রক্ত পাত হয়নি বলায় আওয়ামীলীগের অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতারা তাঁকে লাঞ্ছিত করেন।
http://www.bd-monitor.net/newsdetail/detail/41/154198