সবজি বিক্রি করে জিপিএ-৫ পেল সেনবাগের সোহাগ ||

নোয়াখালীঃ একমাত্র দাঁড়ানোর ঠিকানা ঘর ছাড়া আর কিছু নেই সোহাগের। ভূমিহীন বাবার আয় রোজ তেমন নেই। নেই কোনো স্বজন সহযোগিতা করার মতো। তিন ভাই-এক বোন মিলে ছয়জনের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরার অবস্থা। তার ওপর লেখাপড়ার খরচ।

কিন্তু কি করার লেখাপড়ার প্রতি তার অসম্ভব দুর্বলতার কারণে বাবার সাথে ভাসমান সবজি বিক্রির কাজ করে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার আকবর আলী খাঁন কারিগরি এন্ড কর্মাস কলেজ থেকে সামছুল আলম সোহাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে।

দারিদ্র্যতার কষাঘাতে জর্জরিত অদম্য মেধাবী সামছুল আলম সোহাগের জীবন। একে একে দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম তার ওপর পড়ালেখার খরচ। বাধ্য হয়ে সে বাবার সাথে ভাসমান সবজি বিক্রেতার কাজ করে। নিজের ইচ্ছায় সপ্তাহে চারদিন দুপুরে ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার ফকির হাট, কানকিরহাট কাজ করে চালিয়ে নেয় লেখাপড়া।

ফরম ফিলাপ ও কোচিং করার মতো সামর্থ্য ছিল না। ধার দেনা করে অধ্যক্ষের সহযোগিতায় এ বছর ফিলাপ করে সে। সোহাগ তার পড়া লেখার খরচ ও ভর্তি বিষয়ে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছে।

দৈনিক সেনবাগে কণ্ঠ/ ১২ আগস্ট ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post