সেনবাগ: উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিদ্যালয়ের অন্তত ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের তেমুহনী আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাদের বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় একটি দলের সাথে ১৫’শ টাকা করে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে। সকাল ৯টা থেকে বিদ্যালয় মাঠে তাদের খেলা শুরু হয়। খেলা পরিচালনা (রেফারি) করেন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ফখরুদ্দিন। খেলার শেষ পর্যায়ে আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষে রেফারির দেওয়া একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দু’দলের খেলোয়াডদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের শান্ত করে বিদ্যালয়ের বিপক্ষ দলের ১৫’শ টাকা ফিরিয়ে দেয়।
ঘটনায় সোয়া ১০টার দিকে বিদ্যালয় চলাকালে ওই দলের খেলোয়াডসহ কয়েকজন যুবক দশম শ্রেণির কক্ষে অর্তকিত হামলা চালালে অন্তত ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। এসময় হামলাকারীরা বিদ্যালয়ের একটি জানালা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তেমুহনী আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রথম দিকে হামলাকারীরা ছাতারপাইয়া আই কে দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র শুনলেও পরবর্তীতে খবর নিয়ে জানা গেছে তারা বহিরাগত। গোলপ নামের এক যুবক আমার কক্ষে এসে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি।
www.facebook.com/voiceofsenbag