নোয়াখালীতে অতিরিক্ত সিএনজি ভাড়া আদায়ে হয়রানির শিকার যাত্রীরা ||

নোয়াখালী প্রতিনিধি : এ যেন আরেক চাঁদাবাজি, দিগুন বাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের , এটা এখন অনেকটা ওপেন চাঁদাবাজির মতই চলছে। দেখেও না দেখার বান করে আছে বাসও সি এন জি মালিক সমিতির সভাপতি সেক্রেটারিরা, প্রশাসনের কোন বাবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারন মানুষ।

বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধে কে পুঁজি করে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রী সাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চলমান হরতাল আবরোধের অজুহাতে জেলার বিভিন্ন রুটে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাসহ সকল যানবাহনে অতিরিক্তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নোয়াখালীতে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন রুটে সিএনজি ড্রাইভারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে যাত্রীরা। ফলে জেলায় যাত্রী সাধারণের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বেড়েই চলছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিএনজি স্টেশানগুলো থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সা ছেড়ে যায়। আগের নিয়মে সিএনজি মালিকগণ জমাও নিচ্ছেন ৫০০ টাকা।

সব কিছুই চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। তবুও কেন ভাড়া দ্বিগুন ? এমন প্রশ্ন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের। জেলার সোনাপুর থেকে মাইজদী, মাইজদী থেকে চৌমুহনী, সেনবাগ, সোনাইমূড়ী, সেনবাগ থেকে গাজীরহাট কানকিরহাট, গাজীরহাট চৌ-মোড় থেকে ফেনীগামী যাত্রীদের সাথে মঙ্গলবার সকালে কথা বলে জানা গেছে তাদের চাপা ক্ষোভের কথা। যাত্রীরা জানান, প্রশাসন আছে কিনা জানিনা।

সাংবাদিক সাহেব আপনারা লেখেন না কেন ? না লিখলে তো প্রশাসন জানবেনা। দেখিনা আপনাদের লেখার মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয় কি না ? বন্ধ হলে তো সাধারণ জনগন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে।

যাত্রীদের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, জেলা শহর থেকে সোনাপুর, সোনাপুর চেয়াম্যানঘাট, আলেকজেন্ডার, রামগতি, কবিরহাট, জেলা শহর থেকে কোম্পানীগঞ্জ, উদয় সাধুরহাট, চৌমুহনী, সেনবাগ, সেনবাগ উপজেলার গাজীরহাট কানকিরহাট থেকে ফেনী রুটে ছেড়ে যাওয়া আগের তুলনায় দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে সিএনজি ড্রাইভাররা। মাঝে মাঝে এসব বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে তাদের বাক-বিতন্ডা করতে দেখা যায়।

হরতাল অবরোধের অজুহাতে জেলার বিভিন্ন রুটে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাসহ সকল যানবাহনে অতিরিক্তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করে যাত্রীরা।

গত প্রায় আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে এ অবস্থা চলে আসছে অথচ এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোন প্রকার ভূমিকা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। দ্বিগুন ভাড়া বন্ধে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার দাবী করছেন সচেতন মহল ও নিরীহ যাত্রী সাধারণ।

অপর দিকে একাধিক সিএনজি ড্রাইবারের সাথে কথা বললে তারা জানান, হরতাল-অবরোধে রাস্তায় যাত্রী কম থাকায় এবং পৌরসাভার টোল, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে আগের তুলনায় দিগুণ চাঁদা দেওয়ায় যাত্রীদের কাছ থেকে একটু বেশি ভাড়া নিতে হচ্ছে। চাঁদার টাকা আগের মত নিলে ভাড়াও নির্ধারিত নেওয়া হবে।

নোয়াখালী প্রতিনিধি/এম এ এইচ রায়হান/দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/৩১ মার্চ ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post