কিরে মাগি তোর জামাই কই ? তোর জামাই কোথায় বল, নইলে তোর চুল কেটে দেব : কোতয়ালী থানার ওসি ||

কিরে মাগি তোর জামাই কই? তোর জামাই কোথায় আছে বল, নইলে তোর চুল কেটে দেব। তোর জামাই যেমন বোমা মেরে মানুষ মারে তেমনি তোর বাসায় আমরাও বোমা মেরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে যাবো- বিএনপির কেন্দ্রীয় ঢাকা মহানগর আহবায়ক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের স্ত্রী নার্গিস সরকারকে এভাবেই বলেছিলেন কোতয়ালী থানার ওসি। প্রায় প্রতিদিনই একবার করে ওই বাসায় যান পুলিশ। চমকানো ধমকানো অশ্লীল গালিগালাজ নিত্য নৈমাত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে।

শুধু নার্গিস সরকার নয় সারা দেশেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বউ, মা-বোনদের ওপর র‌্যাব-পুলিশের নির্যাতন নিপীড়ন চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোথাও আবার পুলিশে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এ ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ দ্বারা বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের পরিবারের নারীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় জবাবদিহীতা না থাকায় উদ্বেগজনক পর্যায়ে বাড়ছে। বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের নেতা শায়রুল কবীর বলেছেন, এ সরকার হেন কোনো কাজ নাই যা করতে পারে না। তবে এর শেষ রক্ষা হবেনা। নারীর ওপর এভাবে নির্যাতন অনতিবিলম্বে বন্ধ না করলে এর পরিণতি ভালো হবে না।
এদিকে নারীর ওপর পুলিশের এ ধরনের নির্যাতনের ব্যাপারে আইজিপি কে.এম শহীদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

বিভিন্ন সূত্র এবং ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, ইসহাক সরকারের স্ত্রী নার্গিস সরকারকে এভাবে গালিগালাজের ব্যাপারে কোতয়ালি থানার ওসি কুদ্দুস ফকির বলেন, নার্গিস সরকার সে তার কথা বলেছে। তবে তাকে কোনো গালি দেয়া হয়নি। তারা ওই বাড়িতে ইসহাক সরকারের খোঁজে যান।

বগুড়ায় জামায়াত নেতা আজমল হোসেনকে না পেয়ে তার স্ত্রী শিউলি বেগমকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।

বুধবার দিবাগত রাতে সদর থানার পুলিশ তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি বললেন, তিনি জামায়াত করেন। জানা গেছে, সদর থানার একদল পুলিশ বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের চাঁদমুহা গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আজমল হোসেনকে না পেয়ে তার স্ত্রী শিউলী বেগমকে আটক করে নিয়ে যায়।

সদর থানার ওসি আবুল বাসার জানান, জামায়াত নেতাকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি বলেন, তিনি জামায়াত করেন।

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর শিবির সভাপতি তাইজুদ্দিকে আটকের সময় তার বোন মরিয়মকেও আটক করেছে । এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত মরিয়ম জেলহাজতে রয়েছে বলে জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

মিরপুর ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বাবুর বাসায় গত মঙ্গলবার রাতে তল্লাশির জন্য যায় কাফরুল থানা পুলিশ। বাবুকে না পেয়ে বাবুর স্ত্রী আইনজীবী আখিকে খোঁজে পুলিশ। তাকে না পেয়ে বাড়ির দারোয়ানের কাছে পুলিশ নাম্বার (০১৯২২৩৩০২৮২) দিয়েছে আখি বাসায় ফিরে এলেই পুলিশকে যেন খবর দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ওই নাম্বারে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেন কাফরুল থানার দারোগা সদানন্দ। তিনি আখিকে খোঁজেননি বলে জানান। এদিকে জাহিদ হাসান বাবু অভিযোগ করেন, আখির খোঁজ চেয়ে বাসার দারোয়ানকে ওই নাম্বারটি চাওয়া হয়েছে। এর আগেও কাফরুল থানা পুলিশ তাকে না পেয়ে আখিকে অশ্লীল ভাষায় গালি ও হুমকি দিয়েছে বলে জানান।

মেডিকেল ছাত্র আব্দুল্লাহ হোসাইন ও তার ভাই আব্দুল্লাহ হাসানকে সোমবার গভীর রাতে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ আটক করে। এরপরে আবার গভীর রাতে কল্যাণপুর তাদের বাসায় তল্লাশী চালিয়ে তার মা-বাবাকেও ধরে নিয়ে আসে থানায়। সারা রাত মাকে থানায় আটকে রেখে সকাল ৮টার পর ছেড়ে দেয়।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post