মাওলানা সোবহানকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের নিন্দা ||

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও সাবেক এমপি মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুস সোবহানকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ।

আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি এ নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বশূন্য করার ও জামায়াতকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য অব্যাহতভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার রাজনৈতিকভাবে জামায়াতকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধাপরাধী বানানোর ষড়যন্ত্র করে এবং জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করে।

এমনকি তারা জামায়াতকে নির্মূল করার প্রকাশ্য ঘোষণা দেয়। দলীয় লোকদের দ্বারা তারা আদালতে সাজানো সাক্ষ্য প্রদান করে।

সরকারের উদ্দেশ্যই হলো মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।

এ সব কাল্পনিক, মিথ্যা ও বায়বীয় অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মাননীয় ট্রাইব্যুনাল মাওলানা আবদুস সোহবানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ রায়ে মাওলানা আবদুস সোবহান ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপীল করবেন। উচ্চ আদালত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করলে তিনি বেকসুর খালাস পাবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

মাওলানা আবদুস সোবহান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা। তার এলাকার জনগণ তাকে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে ২ বার বিপুল ভোটে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে।

তিনি সারা জীবন পাবনার জনগণের খেদমত করে আসছেন। তিনি পাবনায় মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে জনসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

প্রায় ৮৫ বছর বয়স্ক একজন প্রবীণ ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয় নেতাকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রে দেশবাসী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

আমরা জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তিকে সরকারের এ গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে চরম ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে জামায়াত ঘোষিত কর্মসূচী পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি।

বর্তমানে দেশে চলছে ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্বে মানুষের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে শান্তিপূর্ণ সর্বাত্মক আন্দোলন।

তাই আপাতত আমরা সরকারী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আলাদা কোন কর্মসূচী না দিয়ে ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্বে পরিচালিত চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সফল করে তোলার মাধ্যমে সরকারী চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

আমি আগামী শুক্রবার মাওলানা আবদুস সোবহানসহ জামায়াতের আটক সকল নেতা-কর্মীর মুক্তির জন্য দেশব্যাপী দোয়ার কর্মসূচী ঘোষণা করছি।

সকল ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত বন্ধ করে অবিলম্বে মাওলানা আবদুস সোবহানসহ আটক জামায়াতের সকল নেতা-কর্মীকে এই মুহূর্তে মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।”

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post