এই মুহুর্তে দেশে যে আতংক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্তিতি বিরাজ করছে তা থেকে উত্তরণের উপায় কি এ নিয়েই ভাবছেন দেশের জনগণ ও সুশীল সমাজ। আতঙ্কিত দেশের জনগণ দিনে দিনে ফুসে উঠছে। যে কোনো মুহুর্তে বড় ধরনের একটা অঘটন ঘটে যেতে পারে এই আশংকা করছেন বিশ্লেসকরা। দুটি দলের মরণ কামর। একদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তি, অন্য দিকে ভ্রাম্যন্যবাদী শক্তি। অবৈধ হাসিনা সরকার ভারতীয় বিজেপির পক্ষ থেকে গ্রীন সিগন্যাল পেয়েই হামলে পড়েছিল বিরুধী শক্তিকে প্রতিহত করতে, কিন্তু হঠাত তাদের ঠনক লড়ে যায়। বেগম জিয়াকে অবরুদ্ধ করতে গিয়ে তারা গ্রিন সিগনালের বদলে রেড সিগনাল পেয়ে। কিন্তু ইতিমধ্যেই জাতীয়তাবাদী ও দেশপ্রেমিক এবং ইসলামী শক্তি রুখে দাড়িয়েছে; প্রতিরোধ শুরু করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তরে দখলদার ভারতীয় শক্তির তাবেদার গোষ্ঠী আওয়ামী লীগারদের কার্যালয়ে আগুন দেয়া শুরু হয়েছে। অন্যদিকে হাসিনা সরকারকে সেনাবাহিনী হুশিয়ার করে দিয়েছে দেশে অনাকাংখিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আওয়ামীলীগকে তার জন্য খেসারত দিতে হবে।
এদিকে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের অফিস গুলোতে আগুন দেয়া শুরু হয়েছে যা অধিকাংশ মিডিয়ায় প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন মায়ার গাড়িতে হামলা হয়েছে। নব নিযুক্ত পুলিশের আইজির পিএসকে জনতা ধাওয়া করেছে। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী মিসেস হাসিনা মিয়ার মধ্যে দারুন ভাবে আতংক দেখা গেছে। টেলিভিশনে তাকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি বিমর্ষ দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ন নেতা ও গোয়েন্দা প্রধানদের সাথে নির্ঘুম রাত কেটেছে তার। তার মরহুম পিতার পরিনতি চিন্তা করে কাউকেই তিনি এই মুহুর্তে বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে আওয়ামী লীগ সুত্রে জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি দু:শ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তার নিজের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের নিরাপত্তা নিয়ে। এমনকি বিএনপি তাদের অবস্থানে অটুট থেকে হাসিনা গংকে উৎখাতে অবিচল থাকলে হাসিনার পক্ষ থেকে আপোষের প্রস্তাব আসতে পারে বলেও জানা গেছে। তবে জামায়াতে ইসলামী অবৈধ অসাংবিধানিক সরকারকে উৎখাতে একপায়ে মুখিয়ে আছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কার্যালয়ে ঢুকে দাফতরিক কর্মচারীদের বের করে দেয় তারা। রাত পৌনে ১২টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ।তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। যদিও পুলিশ বলছে তাকে আটক করা হয়নি। তিনি এখন অ্যাপোলো হাসপাতালে আছেন। তার চিকিৎসা চলছে। তবে পুলিশের অন্যান্য সূত্র জানিয়েছে রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর রাত পৌনে ১২ টার দিকে গুলশান কার্যালয় হতে বের হতে বাধার সম্মুখীন হন বেগম খালেদা জিয়া পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে আবারো কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
রাত ১টার দিকে বাসভবনে না গিয়ে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেন বেগম জিয়া। বেগম জিয়ার বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জনান, ৫ জানুয়ারির সমাবেশ সফল করার আহবান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। জানা গেছে তিনি বাসায় গেলে ৫ জানুয়ারী তাকে বাসা থেকে বের হতে দেবে না পুলিশ তাই তিনি এইবার পুলিশের ফাদে পা না দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে গণ আন্দোলনের পরিনতি দিয়ে ব্যর্থতা দেখা দিলে প্রবাস থেকেই একটি অস্থায়ী সরকার বা স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার কাউন্সিল গঠনের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। ১০ জন কেবিনেট সদস্যের সমন্বয়ে এই সরকার বা কাউন্সিল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। প্রয়োজন অনুসারে এই ঘোষণা আসবে। সেক্ষেত্রে একটি সেচ্ছাসেবী বাহিনীও গঠন করা হতে পারে যারা অবৈধ সরকার ও দখলদার বাহিনীর স্বার্থ্গুলোতে আঘাত হানতে পারে।
তবে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিস্ফোরন্মুখ। কোন কোন মহলের মতে বর্তমান সময়কাল ১৯৭১ এর চেয়ে ও খারাপ। তবে চিত্র ভিন্ন। বর্তমানে পাকিস্তানের পরিবর্তে ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদের দখলে বাংলাদেশ। ভারতীয়দের দালালিতে রাজাকারের ভূমিকায় আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে আপামর জনতা। আজকের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান দল বিএনপি। দেশপ্রেমিক শক্তির মতে ৭১ এর আওয়ামী লীগের মত করে বিএনপি এই মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভুমিকাকে বিতর্কিত করবে না।
উৎস: ফোন: ০৭৪৪৮৩৮৮৬৬৮
ইমেইল: editor@newsbd7.com
কপিরাইট © 2014 NewsBD7 এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Sunday, 04 Jan 2015