রাসূলুল্লাহ (সা:) তাঁর সাহাবাদের বলেন- "শেষ বিচারের দিনে এমন কিছু মানুষকে আনা হবে, যাদের বুক ও ডান হাতে জ্বলজ্বল করতে থাকবে নূর, তাদেরকে বলা হবে, আজকে তোমাদের জন্য সুসংবাদ, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, তোমাদের কল্যাণ হোক, তোমরা চিরদিনের জন্য প্রবেশ কর জান্নাতে।'
তাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার এই ভালবাসা দেখে নবী- রাসূলগণ পর্যন্ত ঈর্ষান্বিত হবেন।"
একথা শুনে সাহাবা (রা:) জিজ্ঞেস করলেন, "ইয়া রাসূলুল্লাহ, এরা কারা ?"
উত্তরে মুহাম্মাদ (সা:) বললেন, "এরা আমাদের (নবীদের) মধ্য হতেও না, এরা তোমাদের (সাহাবীদের) মধ্য হতেও না। তোমরা আমার সঙ্গী, কিন্তু তারা আমার বন্ধু। তারা তোমাদের অনেক পরে আসবে। তারা কুরআনকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাবে এবং সুন্নাহকে মৃত অবস্থায় পাবে। তারা শক্ত ভাবে কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরবে এবং পুনরুজ্জীবিত করবে। তারা এ গুলো অধ্যয়ন করবে এবং মানুষকে শেখাবে। কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে তারা তোমাদের চেয়েও ভয়াবহ ও কঠিন নির্যাতনের শিকার হবে।
প্রকৃতপক্ষে, তাদের একজনের ঈমান হবে তোমাদের চল্লিশজনের ঈমানের সমান। তাদের একজন শহীদ হবে, তোমাদের চল্লিশজন শহীদের সমান। কেননা তোমরা সত্যের পথে একজন সাহায্যকারী (আল্লাহর রাসূল) পেয়েছ, কিন্তু তারা কোন সাহায্যকারী পাবে না। প্রত্যেক জায়গায় তারা অত্যাচারী শাসক দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবে এবং তাদের অবস্থান হবে বায়তুল মাকদিস এর চারপাশে। তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নুসরাহ (সাহায্য) আসবে এবং তারা এই বিজয়ের গৌরবকে প্রত্যক্ষ করবে।"
তারপর তিনি (রাসূল সা:) দু'আ করলেন- "হে আল্লাহ, তুমি তাদেরকে নুসরাহ দান কর। জান্নাতে তুমি তাদেরকে আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসাবে গ্রহণ কর।"
সম্পাদকীয়/দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/০৭ ডিসেম্বর ২০১৪।