ভারতের দি নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টের বরাত দিয়ে “ভারতের সারদা গ্রুপের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত সেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে টাকা দিয়েছে” মর্মে বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গতকাল রোববার যে ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২৪ আগস্ট দি নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় ঐ ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পরে আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তার প্রতিবাদ জানিয়েছি। দি নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার বরাত দিয়ে বাংলাদেশের দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ২৫ আগস্ট ও কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ২৬ আগস্ট ঐ রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পরে আমরা তার প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ২৭ আগস্ট আমাদের পাঠানো প্রতিবাদটি ছাপানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও গতকাল কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ঐ ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টটি ছাপানো হয়েছে। এ সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো, জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাক্সক্ষীদের দেয়া টাকায় পরিচালিত হয়ে থাকে। কাজেই ভারতীয় সারদা গ্রুপের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত সেনের নিকট থেকে জামায়াতে ইসলামীর অর্থ গ্রহণের প্রশ্নই আসে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি বিশেষ মহল জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, দি নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার রিপোর্টে ‘ভারতের তৃণমূল কংগ্রেস দলের সংসদ সদস্য ও সাংবাদিক আহমেদ হাসান ইমরানের মাধ্যমে সারদা গ্রুপের টাকা জামায়াতের কাছে পৌঁছেছে’ মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য ছাপা হয়েছে তা ভারতের সংসদ সদস্য ও কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ হাসান ইমরান সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। গত ৩০ আগস্ট কলকাতার একটি অনলাইন পত্রিকাকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ সব মিথ্যা কথা। আমি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করছি।’ এ বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, সারদা গ্রুপের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে জামায়াতে ইসলামীর অর্থ গ্রহণের যে কথা প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার। সারদা গ্রুপের সাথে জামায়াতে ইসলামীর আর্থিক লেনদেন থাকার প্রশ্নই আসে না। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে দেশ-বিদেশের কাউকেই বিভ্রান্ত করা যাবে না।
কাজেই জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রসমূহের প্রতি আহ্বান জানান।
উৎস: দৈনিক সংগ্রাম